জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে বাস ভাড়া নির্ধারণ করার পাঁচদিন পরও চট্টগ্রামে সব গণপরিবহনে টানানো হয়নি ভাড়ার তালিকা। যার ফলে বাসের চালক ও হেল্পারদের বিরুদ্ধে বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে চালকরা বলছেন, তারা তালিকা অনুযায়ীই ভাড়া নিচ্ছেন।
যাত্রী হয়রানি ও বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহনে শুধু একদিন অভিযান পরিচালনা করেছিল বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে নিয়মিত এমন অভিযানের কথা থাকলেও কোন তৎপরতা দেখা যায়নি তাদের।
জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির পর সব গণপরিবহনের বর্ধিত ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করে দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটারে ৪০ পয়সা এবং মেট্রোপলিটনে ৩৫ পয়সা ভাড়া বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
তবে নতুন করে বাস ভাড়া নির্ধারণ করার পাঁচদিন পরও সব গণপরিবহনে লাগানো হয়নি ভাড়ার তালিকা। যার ফলে ইচ্ছেমত বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
অনেক যাত্রী বলছেন, গ্যাস ও ডিজেলচালিত গাড়ীর পার্থক্য বুঝতে না পারায় অনেকসময় গ্যাসচালিত বাসও ডিজেলচালিত গাড়ীর সমান ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্যের কথা স্বীকার করে পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, সমন্বয়ের অভাবে এখনো নগরীর সমস্ত গণপরিবহনে ভাড়ার তালিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে, ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে যে নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিংয়ের আহবান জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের সহ-সভাপতি নাজের হোসাইন।