চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। গতবছর ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মধ্যকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ সেপ্টেম্বরে মাঠে গড়িয়েছিল।
তবে আর্জেন্টিনার চারজন খেলোয়াড় করোনা প্রটোকল ভঙ্গ করেছে এ অভিযোগ এনে ম্যাচ শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যেই সে খেলা বন্ধ করে দেয় ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এরপর এই ম্যাচ নিয়ে আদালতে পর্যন্ত যায় এই দুই দলের ফেডারেশন। তবে শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) এবং আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) মধ্যে পারস্পরিক চুক্তিতে বাতিল হচ্ছে সুপার ক্লাসিকো খ্যাত ম্যাচটি।
গত জুন মাসে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) কোর্টে আপিল করেছিল এই ম্যাচটি না খেলার জন্য। পাশাপাশি ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) এক চিঠির মাধ্যমে ফিফাকে জানিয়েছে, তারা এই ম্যাচটি খেলতে চায় না।
স্পোর্টসস্টারের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ব্রাজিলিয়ান কনফেডারেশনের সভাপতি এডনাল্ডো রদ্রিগেস জানিয়েছেন, ‘ইনজুরির ঝুঁকি, সাসপেনশন এবং আর্জেন্টিনাদের বয়কটের কারণে আমরা এই ম্যাচটি খেলতে চাইনা।’
তবে ফিফা নির্দিষ্ট একটা সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিল দুই দলকে এই ম্যাচটি খেলার জন্য। ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাতিল হওয়া ম্যাচটি আয়োজনের নির্দেশনা দিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনকে (সিবিএফ)।
তবে শেষ পর্যন্ত আর মাঠে গড়াচ্ছে না আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মহারণ। এর আগে সিএএস দুই দলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল আর দুই দলকেই ম্যাচটি খেলতে জোর করেছিল।
ফিফাও তখন সেটিই চেয়েছিল। ম্যাচটি না হলে বাছাইপর্ব পূর্ণতা পায় না এমনই দাবি ছিল সংস্থাটির। ইতোমধ্যে কাতার বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে দেশ দুটি। এটি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ।