বান্দরবানের লামা উপজেলার পুনর্বাসন চাকমাপাড়া ও ইমানুয়েল ত্রিপুরা পাড়ায় সেনাবাহিনীর পরিচালিত এক সাঁড়াশি অভিযানে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন জেএসএস (মূল)-এর ৯ জন সক্রিয় সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ জুন) ভোররাতে আলীকদম সেনা জোন এ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবান রিজিয়ন সদর দপ্তরের নির্দেশনায় আলীকদম জোনের জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মঞ্জুর মোর্শেদ, পিএসসি-এর নেতৃত্বে সেনাসদস্যরা অভিযানটি পরিচালনা করেন। আটককৃতরা হলেন—আনন্দ মোহন চাকমা (৭২), শান্তিরাম চাকমা (৩৩), চাতুই চাকমা (৩৫), শান্তি রঞ্জন চাকমা (৩৫), কল্পরঞ্জন চাকমা (৪৫), জ্যোতি বিকাশ চাকমা (২৮), পাখিরাম ত্রিপুরা (৩১), ছতিয় ত্রিপুরা (৬০) ও জুয়েল ত্রিপুরা (২৬)।
সেনাবাহিনীর প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এরা সবাই দীর্ঘদিন ধরে জেএসএস (মূল)-এর হয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্র প্রদর্শন এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছিল।
অভিযানে উদ্ধার হওয়া আলামতের মধ্যে রয়েছে—৪টি গাদা বন্দুক, ২০টি ব্যারেল, ৩টি ছুরি, ১০টি ইউনিফর্মের নিচের অংশ, ২০ জোড়া বুট, ১০টি ট্যাবলেট, ২০টি মোবাইল ফোন এবং বিভিন্ন ইলেকট্রিক তার। এসব অস্ত্র ও সরঞ্জাম জব্দ করে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লামা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আলীকদম সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী সবসময় তৎপর রয়েছে। তিনি স্থানীয় জনগণকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের কোনো ধরনের চাঁদা না দিতে এবং কোনো ধরনের হুমকি পেলে দ্রুত সেনা জোনে জানাতে আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ‘‘আলীকদম ও লামা এলাকায় কোনো চাঁদাবাজ বা অবৈধ অস্ত্রধারীকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’’
এই অভিযানে স্থানীয় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানা গেছে, এবং সেনাবাহিনীর এই তৎপরতা পাহাড়ে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।