জামালপুরের মাদারগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে এক মাহিন্দ্র গাড়ি চালককে পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। এ অভিযোগে বিএনপির নেতাসহ দুজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
এ ঘটনায় আজ বুধবার (৪ জুন) বিকেলে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় মামলা ভুক্তভোগী মাহিন্দ্র চালক রাঙ্গা মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে তাদের আদালতে সোর্পদ করেছে পুলিশ।
এর আগে অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) দিনগত গভীর রাতে উপজেলার কড়ইচড়া ইউনিয়নের জটিয়ারপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে মাহিন্দ্র চালক রাঙ্গা মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালত সোর্পদ করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, কড়ইচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও পূর্ব জটিয়ারপাড়া এলাকার মুন্নাফের ছেলে গোলাম মোস্তফা জিন্নাহ (৩৫) ও তার সহযোগী একই এলাকার মৃত সুরুজ মন্ডলের ছেলে সোলাইমান সুলাই (২৪)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাহিন্দ্র চালক রাঙ্গা মিয়া পূর্ব জটিয়ারপাড়া এলাকার মমিনুর ইসলামের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপিরনেতা জিন্নাহ ও তার সহযোগী সোলাইমান তার কাছে মাসিক ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
কিন্তু চাঁদা না দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হন। পরে গত ৩১ মে রাতে মাহিন্দ্র গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরলে হকিস্টিক ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রাঙ্গা মিয়াকে গুরুতর আহত করা হয়। এরপর স্থানীয়রা আহত রাঙ্গা মিয়াকে উদ্ধার করে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় রাঙ্গা মিয়া মাদারগঞ্জ সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর মঙ্গলবার দিনগত রাত ২টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা জটিয়ারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ সময় গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে মাদক সেবনের সরঞ্জাম, গ্যাস লাইট ও দুটি স্টিলের লাঠি উদ্ধার করা হয়। মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে দুজনকে সেনাবাহিনী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী রাঙ্গা মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার বিকেলে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।