কুমিল্লার দেবীদ্বারে মেয়েকে (৮) ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর এবং ধর্ষককে অবরুদ্ধ করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। হামলা চলাকালে বাড়ির মালিক আব্দুর রশিদের ছেলে সাকিব হোসেন (১৬) নামের এক কিশোরসহ ৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, মো. জামাল হোসেন (৫০) নামের এক অটোচালক তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও সৎ কন্যাকে নিয়ে ওই বাড়িতে প্রায় ১ মাস ধরে ভাড়ায় থাকেন। কন্যাশিশুটি কুমিল্লা শহরের দারুল হাকিমিয়া আলিম মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টার দিকে মো. জামাল হোসেন শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। প্রথমে বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে গোপন রাখার চেষ্টা করে।
পরে স্থানীয়রা বিষয়টি জানার পর বিকেল ৫টায় বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও তাকে মারধর করে। এ সময় বাড়ির মালিকের ছেলে সাকিবসহ কয়েকজন বাধা দিতে এসে হামলার শিকার হয়। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সাকিব হোসেনকে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্ত জামাল হোসেন জানান, ২০১৯ সালে তার প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে দেবীদ্বার বানিয়াপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। প্রায় এক বছর পূর্বে তাকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। পূর্বের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়েসন্তান রয়েছে। সৎ কন্যাকে শ্লীলতাহানির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নীরব ছিলেন।
জামাল হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী জানান, ঘটনার সময় তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন, পরে মেয়ের কাছে বিস্তারিত শুনেছেন।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে বিকেলে অভিযুক্ত জামালকে উদ্ধার করে আনতে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। জনতার রোষানলে তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার রায়হানুল ইসলামের নেতৃত্বে সন্ধ্যায় আরো পুলিশ ও সেনা সদস্যের একটি দল নিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। বিষয়টি আগে জেনে বিস্তারিত জানাব।’