কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির নেতার বাড়িতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ২টার দিকে কোমারডোগা গ্রামের বিএনপি নেতা মো. আবুল হোসেনের আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫ লাখ টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা ওমর ফারুক জানান, তিনি লাকসাম জংশন এলাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে চিৎকার শুরু করেন। এরপর এলাকাবাসী ছুটে এসে বালু ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়।
সংবাদ পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে লাকসাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং আধাঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে আশপাশের বাড়িঘর আগুন থেকে রক্ষা পেলেও ভবনে থাকা সেন্টারিং কাঠ, বাঁশ, দরজা-জানালা, টিনের ছাউনি এবং অন্য নির্মাণসামগ্রীসহ সব কিছুই পুড়ে ছাই যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির মালিক মো. আবুল হোসেন ওই ওয়ার্ডের বিএনপির সাবেক সভাপতি। তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা করেন। এই ঘরটিতে নির্মাণ শ্রমিকরা থাকেন এবং নির্মাণসামগ্রী রাখেন। ঈদ উপলক্ষে নির্মাণ শ্রমিকরা নিজ নিজ বাড়িতে গেছেন। ফলে এ সময় ঘরে কেউ ছিল না। তা ছাড়া ঠিকাদার মো. আবুল হোসেনও ঢাকায় ছিলেন।
বাড়ির মালিক ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদার মো. আবুল হোসেনের ভাতিজা মাহমুদুল হক রাসেল বলেন, ‘বাড়িতে কোনো গ্যাস, বৈদ্যুতিক সংযোগ বা দাহ্য পদার্থ ছিল না। এটি পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগ বলে আমরা ধারণা করছি।’
লাকসাম ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি তদন্তাধীন।’
অন্যদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা, শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি জানান, এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। ঘটনার সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।