সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার নতুন সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ইভান তাহসীব এবং সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন শামসুল আলম মারুফ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনে ছাত্র সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ১৩তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন খাদিজা তুল কুবরা, সাংগাঠনিক সম্পাদক আপেল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক তৌকির আহমেদ, অর্থ সম্পাদক সিদ্ধার্থ কুমার রায়, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খিজির আল সিফাত প্রমূখ।
কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও বাসদ (মার্কসবাদী) -এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির স্কুল বিষয়ক সম্পাদক দীপা মজুমদার।
উক্ত অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক শামসুল আলম মারুফ ও কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ইভান তাহসীবের সভাপতিত্বে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা উচ্চশিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ, বেসরকারিকরণ ও শিক্ষা সংকোচনের ফলে সৃষ্ট নানাবিধ সংকট ও সমাধানের বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং শিক্ষা-সংস্কৃতি-মনুষ্যত্ব রক্ষায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগ্রামকে অভিবাদন জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগ্রাম অনেক দীর্ঘ দিনের। এসব লড়াইয়ে সংগঠন হিসেবে আমরাও শিক্ষার্থীদের সমস্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে ছিলাম। হল রক্ষার আন্দোলন, পাঁচ হাজার টাকা উন্নয়ন ফি বাতিলের আন্দোলন, ২৭/৪ ধারা বাতিলের আন্দোলন, খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন, অবন্তিকা হত্যার বিচারের দাবীতে আন্দোলন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণসহ সমস্ত আন্দোলনে আমাদের সংগঠন শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ভয়মুক্ত গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস, শিক্ষার অধিকার ও মনুষ্যত্ব রক্ষার সংগ্রামে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা তার কার্যকর ভূমিকা অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক উচ্চশিক্ষার সংকটের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের লক্ষ্যে ১৯ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন।