পঞ্চগড়ে দেবীগঞ্জে কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট নিরসন, সময় অপচয় রোধ ও অতিরিক্ত খরচ রোধে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের খুটামারা গ্ৰামে ফসলি মাঠে রাইস প্লান্টারের মাধ্যমে জমিতে ধানের চারা রোপণ করে এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হাসান।
উদ্বোধন শেষে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজনে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান রোপণের উপকারিতা নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ নাঈম মোর্শেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হাসান।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবীডুবা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল প্রধান, দেবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক আবু বাকের, আশরাফুল আলম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ নাঈম মোর্শেদ বলেন, ধান চাষাবাদে নতুন ও সহজ একটি পদ্ধতি হলো ‘সমলয়’। এ পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত, সবই এক সময়ে একযোগে করা হবে। স্বল্প মানুষের সাহায্যে কাজটা করবে যন্ত্র। জমির অপচয় রোধে এ পদ্ধতিতে প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে লাগানো হয় ধানের বীজ। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা হয়। তারপর রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টারের মাধ্যমে রোপণ করা হয় ধানের চারা। একটা ট্রান্সপ্ল্যান্টার এক ঘণ্টায় এক একর জমিতে চারা লাগাতে পারে, এতে শ্রমিকের খরচ বেঁচে যায়। চারা লাগানো যায় একই গভীরতায় সমানভাবে। এছাড়া একই সময় রোপণ করায় নির্দিষ্ট এলাকায় সব ধান পাকেও একই সময়। মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে সব ধান কাটা ও মাড়াই করা যায়।
কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, কৃষি প্রণোদনার অংশ হিসেবে এ বছর দেবীগঞ্জ উপজেলার ৩৪ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ করা হবে।