একের পর এক সুযোগ মিসের মহড়ায় চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষ করল বাংলাদেশ। ৪৮ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারত দিন শেষ করেছে ৬ উইকেটে ২৭৮ রান। শ্রেয়াস আইয়ার ও চেতেশ্বর পুজারার ফিফটি ও তাদের ১৪৯ রানের জুটিতে প্রথম দিন এভাবেই প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছে ভারত।
তিনবার বেঁচে যাওয়া শ্রেয়াস খেলছেন ৮২ রানে। তার ১৬৯ বলের ইনিংস গড়া ১০ চারে। নুরুল হাসান সোহান ও ইবাদত হোসেন ছাড়েন তার একটি করে ক্যাচ। ইবাদতের বল অফ স্টাম্পে লাগার পরও একবার পড়েনি বেলস! আক্ষেপ আছে আরও দুটি। শুরুতেই একবার সোহানকে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান পুজারা। পরে খেলেন ৯০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস।
নিজের ২২ রানে থাকা অবস্থায় ফিরতে পারতেন পূজারা। অন্যদিকে ব্যক্তিগত ৩০ রানে ফিরতে পারতেন শ্রেয়াস। ক্যাচ মিস করেছেন পেসার এবাদতও, ওই সময় শ্রেয়াসের ৬৭ রান।
অথচ দিনের প্রথম সেশনটা বাংলাদেশ শুরু করেছিল স্বপ্নের মতো। লোকেশ রাহুল (২২), শুভমান গিল (২০) এবং বিরাট কোহলিকে (১) ফিরিয়ে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন টাইগার বোলাররা। এরপর ৮৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। দুপুরের খাবার শেষে মাঠে ফিরে অবশ্য দলীয় ১১২ তে ব্যক্তিগত ৪৫ রান করে ফিরে যান রিশব প্যান্ট।
এরপরের গল্পটা শুধুই পূজারা-আয়ারের। এই দুই ব্যাটার দেখে শুনে দলে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। দ্বিতীয় সেশনে আর কোনো উইকেট পড়তে দেয়নি এই জুটি। তবে দিনের শেষ সেশনে ভারতীয় দলে আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা পূজারাকে ৯০ রানে বোল্ড করে টাইগার এই স্পিনার।
শেষ দিকে অক্ষর প্যাটেলের ব্যাট-প্যাড ছুঁয়ে আসা ক্যাচ বুঝতেই পারেননি লিটন দাস-সোহান-জাকির হাসানরা। শেষের দিকে দুটি উইকেট নিয়ে তাও কিছুটা লড়াইয়ে ফিরতে পেরেছে বাংলাদেশ।
তবে উইকেটে বোলারদের বিশেষ করে স্পিনারদের জন্য যথেষ্ট সহায়তা থাকায় ভারতের এই রানই হতে পারে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। বেশ টার্ন রয়েছে, কিছু বল বিপজ্জনকভাবে নিচু হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি থাকলে বাংলাদেশের জন্যও ব্যাটিং হবে চ্যালেঞ্জিং।
৮৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার তাইজুল ইসলাম। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ২ উইকেট নেন ৭১ রানে।