ভিনিসিয়ুসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। তবে অফসাইডে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই ক্যাসিমিরোর গোলে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল।
ঝুঁকি নিয়ে জয়ের জন্য দলকে খেলাবেন দুই কোচ, নাকি এক পয়েন্টের জন্য বেছে নেবেন নিরাপদ পথ। প্রশ্নটা উঠতে না উঠতেই থামিয়ে দিল ব্রাজিল। দলের সেরা তারকাকে ছাড়া খেলতে নেমে একটু রঙ হারালেও ড্রয়ের জন্য খেলার দল তো তারা নয়। তাই চালিয়ে গেল আক্রমণ, শেষে পেয়ে গেল ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোল।
দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ সোমবার ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। ফ্রান্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে নিশ্চিত করেছে শেষ ষোলো।
পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের তিন পয়েন্ট এনে দেওয়া গোলটি করেন কাসেমিরো, ৮৩তম মিনিটে। আক্রমণে তারকার অভাব নেই। গতিময় ফরোয়ার্ড, উইঙ্গার আছে ঢের।
কিন্তু নেইমারের মতো সৃষ্টিশীল ফুটবলারের অভাব তো পূরণীয় নয়। পিএসজি ফরোয়ার্ডের অভাব টের পাওয়া গেল শুরু থেকেই। তার উপস্থিতিতে যতটা ধারাল হয়, তার ধারেকাছেও ছিল না ব্রাজিলের আক্রমণ।
তবে বরাবরের মতো আক্রমণাত্মক শুরু করে দলটি। প্রথম সুযোগ তৈরি করে তারাই। অসুস্থতা কাটিয়ে খেলা লুকাস পাকেতার ফ্লিকে খুব ভালো জায়গায় বল পেয়ে যান রিচার্লিসন। একটুর জন্য তিনি ডি-বক্সে ভিনিসিউস জুনিয়রকে বল পাঠাতে পারেননি। ঠাণ্ডা মাথায় ক্লিয়ার করেন নিকো এলভেদি।
সাত মিনিট পর একটুর জন্য মেলেনি গোল। সুইজারল্যান্ডের চারজনের ঘেরের মধ্য থেকেই ভিনিসিউস খুঁজে নেন পাকেটাকে। তার ক্রসে সুযোগ ছিল রিচার্লিসনের সামনে। কিন্তু তিনি পারেননি স্লাইড করে বলে পা ছোঁয়াতে। সেই সুযোগে বিপদমুক্ত করেন এলভেদি।
২৭তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয় ব্রাজিলের। বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড রাফিনিয়ার চমৎকার ক্রসে ভিনিসিউসের কাছের পোস্টে নেওয়া দুর্বল ভলি ঠেকিয়ে দেন ইয়ান সমের। বেঁচে যায় সুইজারল্যান্ড। বাকি সময়ে গোলের খুব ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউই।