নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের কাছে ০-২ গোলে হেরেছে সার্বিয়া। আর ০-১ গোলে সুইজারল্যান্ডের কাছে হেরেছে ক্যামেরুন। ফলে সোমবারের (২৮ নভেম্বর) ম্যাচটি দুদলের জন্যই একপ্রকার বাঁচা-মরার লড়াই।
কারণ এ ম্যাচে যে হারবে, বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের। আল-জানুব স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুখোমুখি হবে দল দুটি।
২০০২ সালে বিশ্বকাপে শেষবার কোনো ম্যাচ জিতেছিল ক্যামেরুন। কিংবদন্তি ফুটবলার স্যামুয়েল ইতো জাতীয় দল ক্যামেরুনে খেলতেন সে সময়। এ স্যামুয়েল ইতোই এখন ক্যামেরুন ফুটবল সংস্থার সভাপতি।
২০০২-এর পর থেকে বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি আফ্রিকার দেশটি। ২০১০ ও ২০১৪ সালে গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচে হেরে বিদায় নেয় তারা। আর ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাই পর্বই পার হতে পারেনি তারা।
এ বছর আফ্রিকান নেশন্স কাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল সিংহরা। তারপর থেকেই নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে।
শেষ ছয়টি ম্যাচে তাদে জয় মাত্র একটি, আর সেই জয়টিও এসেছিল ছোট দল বুরুন্ডির বিপক্ষে। অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে ক্যামেরুনের র্যাংকিং নিচের থেকে চতুর্থ।
এদিকে বিশ্বকাপে নিজেদের সবশেষ তিন উপস্থিতির প্রতিবারই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে সার্বিয়া। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর শেষ ষোলোয় জায়গা করে নেয়ার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে ক্যামেরুনের বিপক্ষে খেলবে সার্বিয়া। শেষ ১০টি বিশ্বকাপ ম্যাচের আটটিতেই তারা পরাজিত হয়েছে।
কোনো ইউরোপিয়ান দেশ হিসেবে এটি সর্বোচ্চ। যদিও বাছাইপর্বে পর্তুগালের মতো দলকে টপকে শীর্ষস্থান লাভ করেছিল ঈগলসরা। এছাড়া স্টোয়কোভিচের দল এবার নেশন্স লিগের শীর্ষ টায়ারেও উন্নীত হয়েছে।
ক্যামেরুনের হয়ে এ ম্যাচে বড় ভূমিকা নিতে দেখা যেতে পারে ডিফেন্ডার নিকোলাস এনকোলো ও বায়ার্ন মিউনিখের স্ট্রাইকার এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোতিংকে।
দীর্ঘদিনের অধিনায়ক ভিনসেন্ট আবুবাকারকে মূল দলে হয়তো এবারও দেখা যাবে না। ইনজুরির কারণে গ্রুপ পর্বে আর খেলা হচ্ছে না মিডফিল্ডার অলিভার নাচামের।
এদিকে ব্রাজিলের বিপক্ষে ব্যর্থ দলের শীর্ষ গোলদাতা আলেক্সান্দার মিট্রেভিচের পারফরমেন্স নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সার্বিয়ান কোচ স্টোয়কোভিচ। যুভেন্টাসের দুই তারকা ডুসান ভ্লাহোভিচ ও ফিলিপ কোসটিচ এখনো পুরো ফিট হয়ে উঠতে পারেননি।