1. admin@dailymirrorofbangladesh.com : mirror :
  2. mstmomtazbegum32@gmail.com : MD Arman : MD Arman
  3. shiblyhasan1212@gmail.com : shibly hasan : shibly hasan
  4. mohiuddinahmadtanveer@gmail.com : Mohiuddin Ahmad Tanveer : Mohiuddin Ahmad Tanveer
দিনে ৪ বিয়ে বিচ্ছেদ ঠাকুরগাঁওয়ে, সমীক্ষায় এগিয়ে নারীরা - দ্যা মিরর অব বাংলাদেশ
৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শরৎকাল| শনিবার| রাত ৪:০০|

দিনে ৪ বিয়ে বিচ্ছেদ ঠাকুরগাঁওয়ে, সমীক্ষায় এগিয়ে নারীরা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৮ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রতীকী ছবি ।

বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ। বৈবাহিক সম্পর্কের শেষ সমীকরণ বিবাহ বিচ্ছেদ। বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই একা নারীর ওপর দোষ চাপাতে দেখা যায়। আসলেই কি তাই? এ ক্ষেত্রে বিয়ে যেমন, তেমনি বিচ্ছেদকেও একটি সামাজিক ঘটনা হিসেবে দেখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

 

এদিকে, কয়েক বছর আগেও বিয়ে বিচ্ছেদের এমন ঘটনা ঠাকুরগাঁওয়ে কম শোনা গেলেও বর্তমানে বিচ্ছেদের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন গড়ে বিয়ে বিচ্ছেদ হচ্ছে চারটি করে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, সংসারে বনিবনা না হওয়া, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের কারণে দিনদিন বেড়ে চলছে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা।

 

জেলা রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত গত ৮ মাসে জেলায় বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে ১১শ। এর মধ্যে নারীর মাধ্যমে বিচ্ছেদ হয়েছে ৬০০টি, ছেলের মাধ্যমে হয়েছে ৩০০টি আর পারিবারিকভাবে হয়েছে ২০০টি।

 

স্থানীয় সমাজকর্মী আবু মহিউদ্দিন বলেন, বিয়ে বিচ্ছেদ সমাজে একটি ব্যাধির মতো হয়ে গেছে। বিয়ে বিচ্ছেদ প্রতিকারের জন্য সচেতনতা জরুরি। বর্তমান সমাজে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই বেশিরভাগ সম্পর্ক শেষ হয়ে যাচ্ছে। একটি পরিবারের সুন্দর সম্পর্কের যে প্রয়োজনীয়তা এসব নিয়ে সমাজের সবাইকে সচেতন করা দরকার। বিয়ে বিচ্ছেদ কমানোর জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধ বৃদ্ধি করতে হবে।

 

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিয়ে বিচ্ছেদ অনেক বেড়ে গিয়েছে। বিয়ে বিচ্ছেদ বা তালাকের জন্য অনেকগুলো কারণ থাকে। আমি গত ১ মাসে যতগুলো তালাক করেছি বেশিরভাগই মেয়েপক্ষ থেকে হয়েছে। ছেলেপক্ষ থেকে বা উভয়পক্ষ থেকে তালাক খুবই কম। আর মেয়েপক্ষ থেকে বিচ্ছেদের অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এরমধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, সংসারে বনিবনা না হওয়া ও যৌতুকের জন্য নির্যাতন প্রধান কারণ। আমরা চেষ্টা করি একটি বিচ্ছেদের আগে যেন কোনোভাবে সেটাকে আটকানো যায়, কিন্তু তারপরও তা সম্ভব হয় না। আর একটি বিচ্ছেদের জন্য অনেকগুলো মানুষকে সেটার কুফল ভোগ করতে হয়।

 

ঠাকুরগাঁও শহরের হাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিয়ে করেছি প্রায় ৪০ বছর। স্ত্রী আর আমি দুজন মিলে বিয়ের এতদিন পার করলাম। সংসারে অনেক ঝগড়া-বিবাদ হয়। আমরা সেগুলো নিজেদের মধ্যো আলোচনা করে ঠিক করে নেই। কিন্তু কোনো দিনও বিচ্ছেদ হবে এমনটা আমরা চিন্তাও করিনি। আমাদের সন্তানদেরও একই শিক্ষা দিয়েছি।

 

ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পরিবারে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে সব সমস্যার সমাধান করবে। কিন্তু এখন দেখা যায়, সামান্য সমস্যা হলেই ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে। আমাদের পরিবারের বাঁধনগুলো এখন খুবই দুর্বল। তাই আমাদের সবার প্রয়োজন পরিবারের যে গুরুত্ব এটা বোঝা এবং সবাইকে এ সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া।

 

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন বলেন, আদালতে এখন যতগুলো বিচ্ছেদের জন্য আসে তার মধ্যে মেয়েপক্ষ থেকে বেশি আসে। সংসারে স্বামী-স্ত্রী মিল না হওয়ার কারণেই তালাক হচ্ছে। তবে আমি মনে করি, সংসার জীবনে সমস্যাগুলো সমাধান করে একে অপরের ভুলত্রুটি মেনে নিয়ে চলাই জীবন।

 

জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দিন বলেন, বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাক সাধারণত তিন প্রকার। ছেলেপক্ষ থেকে তালাক, মেয়েপক্ষ থেকে তালাক ও উভয়পক্ষ থেকে তালাক। এ বছর মেয়েপক্ষ থেকে তালাক বেশি হয়েছে। পারিবারিকভাবে তালাকের সংখ্যা খুবই কম।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © THE MIRROR OF BANGLADESH 2024
x