যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় শক্তিশালীর দিক দিয়ে ক্যাটাগরি-৪ এ রুপ নেয়া হারিকেন হেলেনের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া শক্তিশালী এ ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে ৪৫ লাখ মানুষ।
ফ্লোরিডার গর্ভনর রন ডিসানটিস বলেন, ২০২৩ সালে আঘাত হানা হারিকেন ইডালিয়ার থেকে ব্যাপক শক্তিশালী ছিল হেলেন। এই ঝড়ের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১২৫ বছরের মধ্যে হারিকেন হেলেন সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ফ্লোরিডার টেম্পাসহ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় ক্যাটাগরি ৪ আকারে হামলে পড়ে হারিকেন হেলেন। ওই সময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল। এটি খুব কম সময়ের মধ্যেই ফ্লোরিডার সীমানা ছাড়িয়ে জর্জিয়া স্টেট পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় স্টেট গভর্নর ব্রায়ান কেম্প বলেন, বোমা হামলার মতো ভয়ংকর একটি পরিস্থিতি মুহূর্তেই গ্রাস করলো জর্জিয়ার বাসিন্দাদের। বাড়ি-ঘর ছিন্নভিন্ন হয়ে সড়ক-মহাসড়ক ছাড়িয়ে আকাশে ভাসতে দেখা গেছে। এরপর হেলেনের গতিপথ দক্ষিণ ও উত্তর ক্যারলিনা এবং টেনেসী স্টেটে ধাবিত হয়।
ঝড়ো হাওয়ার সাথে ১৫/১৮ ফুট উচ্চতায় পানির প্রবাহ বাসা-বাড়ি-ব্যবসা-অফিস গুড়িয়ে দেয়। ধ্বংসলীলা আর হারিকেনের ভয়ংকর আচরণে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া লোকজনকেও ভীত-সন্ত্রস্ত করে। ১৬ ঘণ্টাব্যাপী হেলেনের তাণ্ডবে বিস্তীর্ণ এলাকা-জনপদ বিধ্বস্ত নগরীতে পরিণত হয়েছে বলে এসব এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানান।
মার্কিন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, হারিকেন হেলেন ২২৫ কিমি বেগে ফ্লোরিডা উপকূলে আছড়ে পড়ে। শুক্রবার প্রথম প্রহরে পাশের রাজ্য জর্জিয়ার দিকে ধেয়ে যাওয়ার সময় এটি দুর্বল হয়ে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হয়। এ ছাড়া বিকেলের দিকে ঝড়টি একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়। তখন এর বাতাসের গতি ছিল ৫৫ কিমি। তারপর টেনেসি ও কেন্টাকির উপর দিয়ে এটি ধীরে বয়ে যায়।