1. admin@dailymirrorofbangladesh.com : mirror :
  2. mstmomtazbegum32@gmail.com : MD Arman : MD Arman
  3. shiblyhasan1212@gmail.com : shibly hasan : shibly hasan
  4. mohiuddinahmadtanveer@gmail.com : Mohiuddin Ahmad Tanveer : Mohiuddin Ahmad Tanveer
মুখে লাল কাপড় বেধে রাবিতে শিক্ষকদের সংহতি সমাবেশ - দ্যা মিরর অব বাংলাদেশ
৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শরৎকাল| শনিবার| রাত ৩:৫৮|

মুখে লাল কাপড় বেধে রাবিতে শিক্ষকদের সংহতি সমাবেশ

রাবি প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪
  • ২২ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

মুখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও সংহতি সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকদের একাংশ। ‘দেশব্যাপী ছাত্র হত্যা, নিপীড়ন ও হয়রানির ঘটনা’ ও সরকার ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোক প্রকাশের ঘটনাকে প্রত্যাখ্যান করে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে থেকে প্রতিবাদ র‍্যালি বের করেন শিক্ষকরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

এসময় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সালেহ হাসান নকীব বলেন, শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে ভয়ংকর এক জায়গায় নিয়ে গেছে সরকার। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যেভাবে মোকাবিলা করার প্রয়োজন, সেভাবে করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এখনো আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হয়রানি ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে এবং ডিবি কার্যালয়ে বসিয়ে বিবৃতি দেওয়ানোসহ সকল ধরনের নোংরা পন্থা অবলম্বন করেছে সরকার। আমরা এগুলোর অবসান চাই এবং নির্বিচারে যেসব হত্যা করা হয়েছে, তার তদন্ত করে দোষীদের বিচার চাই। এছাড়া দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের রক্তে আজ রঞ্জিত। সারাদেশে শিক্ষার্থীদের এবং সাধারণ জনতার উপর যেভাবে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে সরকার, তা সবাই দেখেছে। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড শুধু শিক্ষকদের নয়, সারা বিশ্বের মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। ফলে সরকার ঘোষিত শোককে প্রত্যাখ্যান করে লাল কাপড় মুখে বেঁধে আমরা প্রতিবাদ করছি। আশা করছি সরকার জনগণের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন। ছাত্রদের আন্দোলনের গুরুত্ব বুঝে অতিদ্রুতই সারাদেশে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যাল খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিবে।

ভেটেরিনারি এন্ড এলিমেল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসা. ইসমাত আরা বেগম বলেন, আমিও দুই সন্তানের মা। আমি সেই মায়েদের কথাই ভাবছি, যাদের সন্তানরা তাজা রক্ত দিয়ে বলে গেল ‘আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় করে ছাড়ব’। যাদেরকে ধরে নিয়ে গেছে, তাদের অনেককে পেটানো হয়েছে। তাদের মা-বাবারা আবার সেই চিত্র টিভিতে দেখছেন। যা আমরা সহ্য করতে পারছি না। তাহলে পিতামাতা কিভাবে সহ্য করছে? পুলিশ সেনাবাহিনী ও বিজিবির প্রতি আমার আহবান, আমাদের মাসুম সন্তানদের গায়ে আর গুলি করবেন না, প্লিজ! তারা কোনো খারাপ কাজ করেনি। শুধু অধিকার আদায়ের জন্য দাবি করেছিল। আর এটা যদি পাপ হয়- তাহলে সারা দেশের সকল শিক্ষার্থী পাপ করছে। আপনারা সবাইকে শেষ করে ফেলেন। বাংলাদেশে কোনো সন্তানের দরকার নেই আমাদের। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পড়াশুনার দরকার নেই। আমরা এমন দেশ চাই না বরং আমরা নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশে আর কোনো অন্যায়, অবিচার, নৃশংসতা হবে না।

অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, শিক্ষার্থীরা কিছু যৌক্তিক দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিল। আমরা দেখেছি, প্রথমে সরকার ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শিক্ষার্থীদের দমন করতে লেলিয়ে দেয়া হয়। পর্যায়ক্রমে তাদের রাজপথে গুলি করে হত্যা করা হয়। শিক্ষক, অভিভাবক ও একজন পিতা হিসেবে এই শোক সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই। তাই আমরা আজ বিবেকের তাড়নায় রাস্তায় নেমেছি।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা আমাদের অহংকার। এই প্রজন্মের মধ্যে জীবন বিলিয়ে দেয়ার যে অদম্য সাহস লুকিয়ে ছিল আজ আন্দলোন না হলে তা বুঝতাম না। আমাদের শিক্ষার্থীরা এখনো মরেনি, তারা জেগে আছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আছে। তোমরা সালাম, বরকত, নূর হোসেনের উত্তরসূরী।

আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইফতেখারুল আলম মাসউদের সঞ্চালনায় এসময় প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাসুদুল হাসান খান মুক্তা, আইন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুর রহিম সাগর, ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষক একাত্মতা পোষণ করে এ সংহতি সমাবেশে অংশ নেন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © THE MIRROR OF BANGLADESH 2024
x