1. admin@dailymirrorofbangladesh.com : mirror :
  2. mstmomtazbegum32@gmail.com : MD Arman : MD Arman
  3. mamun.cou16@gmail.com : Mamun : Mamun
  4. m.sohag21st@gmail.com : Sohag Shah : Sohag Shah
  5. shiblyhasan1212@gmail.com : shibly hasan : shibly hasan
  6. mohiuddinahmadtanveer@gmail.com : Mohiuddin Ahmad Tanveer : Mohiuddin Ahmad Tanveer
একসঙ্গে দুই স্ত্রী নিয়ে ঘুমানো জায়েজ? মানতে হবে যে শর্ত » দ্যা মিরর অব বাংলাদেশ
২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| বৃহস্পতিবার| রাত ১১:৫৭|

একসঙ্গে দুই স্ত্রী নিয়ে ঘুমানো জায়েজ? মানতে হবে যে শর্ত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪
  • ১৭৮ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে
999
প্রতীকী ছবি

ইসলামি শরিয়তে কিছু শর্তসাপেক্ষে পুরুষের জন্য একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। পুরুষের একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের বৈধতার বিষয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমার ভালো লাগে—দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে (বিয়ে করো)…।’ (সুরা : নিসা, ৩)

কোনো পুরুষের সক্ষমতা থাকার পর তিনি যদি একাধিক বিয়ে করেন এবং সবাইকে নিয়ে এক রুমে ঘুমাতে চান তবে এটা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ হবে কি-না? লজ্জা ও ভদ্রতার দাবি হলো, দুই স্ত্রীকে নিয়ে এক রুমে না ঘুমানো।

 

হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক ধর্মের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে। ইসলামের বৈশিষ্ট্য হলো লজ্জাশীলতা। (ইবনে মাজা, বাবুল হায়া, ২/ ১৩৯৯) হজরত ইবনে ওমর রা. বলেছেন, লজ্জা এবং ঈমান একটি আরেকটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যখন এর একটি ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন অন্যটি এমনিতেই চলে যায়। (ইবনে আবি শায়বা, ৫/২১৩)

 

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ঈমানের ৭০টিরও বেশি শাখা রয়েছে এর মধ্য থেকে লজ্জাও ঈমানের একটি (গুরুত্বপূর্ণ) শাখা।- বুখারী, সহীহাইন, কিতাবুল ঈমান, ১/১২

 

তবে কেউ একসঙ্গে একাধিক স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমাতে চাইলে তাকে তিনটি শর্ত মানতে হবে। এই শর্ত মানতে পারলে একজন পুরুষের জন্য একাধিক স্ত্রীকে একসঙ্গে নিয়ে ঘুমানো জায়েজ-

 

১. এতে সব স্ত্রীর সম্মতি থাকতে হবে। ইবনু কুদামা রহ. বলেন, ‘পুরুষের জন্য দুই স্ত্রীকে নিয়ে একসঙ্গে থাকা তাদের সম্মতি ব্যতীত জায়েয নেই। কেননা, উভয়ের মাঝে বৈরিতা ও ঈর্ষা থাকে বিধায় উভয়ের ক্ষতি হতে পারে।’ (আলমুগনী ৭/৩০০)

 

২. এক স্ত্রীর সামনে অন্য স্ত্রীর সতর খোলা থাকতে পারবে না। কেননা, একজন নারী অপর নারীর সতর দেখা হারাম। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পুরুষ পুরুষের এবং নারী নারীর সতর দেখবে না। (মুসলিম ৩৩৮) আর নারীর সামনে নারীর সতর হচ্ছে, নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত।’ (হেদায়া ২/৪৪৫,হিন্দিয়া ৫/৩২৭, বাহারুর রায়েক ৯/৩৫৪)

 

৩. এক স্ত্রীর সামনে আরেক স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করতে পারবে না। হাসান বসরী রহ. বলেন. ‘সাহাবায়ে কেরাম ও শীর্ষ তাবিঈগণ ‘ওয়াজাস’-কে ঘৃণা করতেন। আর ওয়াজাস মানে এক স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করার সময় অপর স্ত্রী আওয়াজ শুনতে পাওয়া। আর ঘৃণা করা দ্বারা পূর্ববর্তীগণ উদ্দেশ নিতেন, হারাম মনে করা।’ (মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবাহ ৪/৩৮৮)

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © THE MIRROR OF BANGLADESH 2024