নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এবছরও ভুট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে। অর্থকরী ফসল হওয়ায় ভুট্টা চাষ করে আর্থিক চাহিদা মিটিয়ে থাকেন কৃষকরা। এবছর ভুট্টার দাম ভাল পাওয়ায় আগামী মৌসুমে ভুট্টা চাষ আরো চাষ বৃদ্ধি পবে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
ভয়েস ওভার – কৃষি বিভাগের তথ্য মতে কুমারখালীতে এ বছরে কৃষি প্রনোদনাইয় সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে ৫৬০ জনকে । চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোট ১ হাজার ৫৪৩ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। যা গত মৌসুমে চাষ হয়েছিল ১ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভুট্টার ফলনও ভাল হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে কৃষকদের খরচ হয়েছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর ফলন হয়েছে প্রতিবিঘা জমিতে ৩০ থেকে৩৫ মন পর্যন্ত। । কোন ক্ষেত্রে আরো বেশী।
মাঠ থেকে প্রতিমন ভুট্টা ১হাজার ২০০ টাকা বিঘায় বিক্রি হচ্ছে ৩৬ – ৪০ হাজার টাকা বিক্রয় করে কৃষকের উৎপাদন খরচে দ্বিগুন লাভ হয়েছে। লাভে খুশি হওয়ায় কৃষকরা আগামীতে ভুট্টা চাষ আরো বৃদ্ধি ঘটাবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
আবার কৃষকের কাছ থেকে ভুট্টা ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে তারাও লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কুমারখালির ব্যবসায়ীরা ।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, পূর্বে এই ইউনিয়নের হাশিমপুর দয়রামপুরে ভুট্টার তেমন কোন আবাদ না থাকলেও সরকারি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দানাদার এ ফসল চাষ শুরু কৃষকেরা। লাভবান হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ফসলের আবাদ। বর্তমানে কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নেই ১০০ হেক্টরের উপরে ভুট্টার আবাদ রয়েছে ।
কুমারখালী ভুট্টা চাষিদের প্রণোদনা প্রদান ও প্রযুক্তি নির্ভর করতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি সব ধরণের সহায়তা দিয়ে থাকেন কৃষি বিভাগ বলে জানিয়েছেন কুমারখালি কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস ।
কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে কৃষকদের সার্বিক সহায়তা দিলে কৃষিক্ষেত্র আরো সমৃদ্ধ হবে এমনটাই জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।