নিজের স্বাস্থ্যে দিকে মনোযোগ দেয়ার কথা ভাবছেন? নিয়মিত যোগব্যায়াম ,হাঁটাহাঁটি, খাদ্য তালিকার শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবার নিয়ন্ত্রণ করে স্বাস্থ্য সুরক্ষার পথে চলবেন কি? স্বাস্থ্যে ভাল রাখার ক্ষেত্রে মেনে চলুন এই ৪টি নিয়ম। তাহলে চলুন জেনে নি কিভাবে আপনার স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিবেন।
নিজের মনের ইচ্ছের দিকে নজর দিন:
মানুষ সারাক্ষণ দেহের সুস্থতা নিয়ে ভাবে। আর এটি সহজও বটে। কিন্তু ইংল্যান্ডের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস ও এক্সারসাইজ বিষয়ক শিক্ষক ড.নেডা’ইন স্যামি বলেছেন, আমাদের নিজে’দের মনের উপরে বিশেষ খেয়াল দেয়া দরকার। তার মতে, আত্ম-সচে;তনতা বাড়ি;য়ে মনের উপরে আমা;দের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো সম্ভব।,
তিনি আরো বলছেন, আত্ম-সচে;তনতা এমন এক জিনিস যা মানুষকে তার নিজের আবেগ, অনুভূতি ও ইচ্ছা- অনিচ্ছা অনেক নিবিড়ভাবে চিনতে সহায়তা করে।,
তার মতে, নিজের অনুভূতিকে চেনার মধ্য দিয়েই মানুষ নিজের স্বাস্থ্য-সুরক্ষার দিকে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে পারে। নিজের সম্পর্কে ব্যক্তির ধারণা যত নির্ভুল ও গভীর হবে, ততই সে তার নিজের শক্তি ও দুর্বলতার দিকগুলো জানবে। এই জানার মাধ্যমেই নিজের দুর্বলতাগুলোকে কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়ে উঠে বলে তিনি মনে করেন ।
কুকুর পুষতে পারেন:
শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকতে জিমে যাওয়া বা ভোরে দৌড়ানোর চেয়েও আপনাকে আরো বেশি কাজে কায়িক পরিশ্রমে ব্যস্ত করে রাখবে পোষা কুকুর। এবারিস্টউইথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষক ড. রিস থেচার বলছেন, জিম হয়তো কারো কারো জন্য একটা ভালো সমাধান হতে পারে। কিন্তু তা সবার জন্য নয়। তাই এক্ষেত্রে মোক্ষম উপায় হতে পারে একটি কুকুর পোষা।
কারণ কুকুরকে যদি দিনে দুইবার অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটাতে হয় তখন আপনিও নিজে থেকেই হাঁটবেন। আর এভাবেই রোজকার হাঁটার ভেতর দিয়ে শরীর ও মনের সুরক্ষা হবে।
খাবারের তালিকায় সপ্তাহে ৩০ পদের সবজি ও ফল-ফলাদি রাখুন:
আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যে তালিকায় সপ্তাহে ৩০ (ত্রিশ) পদের সবজি ও ফল-ফলাদি রাখতে হবে। প্রতিদিন যদি ভিন্ন-ভিন্ন সবজি ও ফলমূল খাওয়া যায় তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার।
এ বিষয়ে লন্ডন কিংস কলেজের গবেষক ড. মেগান রসি বলেছেন, শুধু বেশি করে সবজি ও ফল-ফলাদি খেলেই হবে না। এর মধ্যে বিভিন্ন জাতের ভিন্নতাও থাকা জরুরি দরকার।;
ড. রসির মতে, প্রতি; সপ্তাহে সব; পদ মিলেয়ে যদি ভিন্ন;ভিন্ন ৩০ পদের সবজি ও ফল-ফলাদি খাওয়া যায় তবে তা স্বাস্থ্যের ;জন্য খুবই ভালো।,
আমাদের পাকস্থলীতে মাইক্রোবায়োম বলে একটি ব্যাকটেরিয়া আছে। এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের সুস্বাস্থ্যের উপরে গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। তাই এক্ষেত্রে যত বেশি সম্ভব লতা-পাতা ও উদ্ভিজ্জ সবজি খেতে পরামর্শ দিয়েছেন ড. রসি।
বেশি করে হাসুন
মানব দেহের সুস্থতার জন্য প্রাণ খুলে হাসুন। এবং সব সময় মনকে খুশি রাখুন এতে করে আপনার স্বাস্থ্যে অনেক ভাল থাকবে। এবিষয়ে ড. জেমস গিল বলছেন, মানুষের উচিত সুখী হওয়ার চেষ্টা করা।
এখন আপনার মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন আসতে পারে যে, সুখী হওয়া কি আর চাট্টিখানি কথা? নাকি চাইলেই সুখী হওয়া যায়? এক্ষেত্রে ড. গিলের উত্তর হচ্ছে, সহজেই সুখী হওয়া যায়। সুখী থাকার সহজ উপায় হিসেবে বেশি করে হাসার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান:
দেহ ও মনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকার পর শরীর ক্লান্ত হয়ে যায় এবং একটানা যদি ঘুমের ঘাটতি চলতে থাকে তখন শরীরের উপরে খুব নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এতে করে স্বাস্থ্যে ঝুঁকিও বাড়তে পারে। এই জন্য প্রতিদিন নিদিষ্ট সময়ে বিশ্রাম নিন । এবং দৈনিক রাতে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমান। মনে রাখবেন একজন পরিণত বয়সে মানুষের রাতে দৈনিক ৬-৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু একটানা যদি ঘুমের ঘাটতি চলতে থাকে তবে শরীরের উপরে এর খুব নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এক্সেটার ইউনিভার্সিটির স্পোর্ট এন্ড হেলথ সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক ড. গেভিন বাকিংহাম বলেছেন, ঘুম কম হলে মানুষের কগনিটিভ ফাংশান বা নতুন জিনিস শেখার ক্ষেত্রে ক্ষতি হয়। ঘুমের ঘাটতির নেতিবাচক প্রভাবে এমনকি অনেক সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও ব্যক্তি দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগতে পরে বলে জানালেন ড. বাকিংহাম। তথ্য সুত্র: বিবিসি
রিলেটেড কি ওয়ার্ড: সুস্থ থাকার ১০টি উপায়, শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়;শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়; মুখের স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়; শরীর সুস্থ রাখতে হলে আমাদের কি কি করতে হবে;শরীর স্বাস্থ্য মোটা হওয়ার উপায়;স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার ;সুস্থ থাকার ৫০ টিপস