ভারতের দেয়া ১৭৩ রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হাতে রেখেই এশিয়া কাপ ফাইনালের দ্বারপ্রান্তে লঙ্কানরা।এদিকে উদ্বোধনী জুটিতে ১১ ওভারেই ৯৭ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। এরপর দ্রুত তিনটি উইকেট হারায় তারা। ৯৭ রানের মাথায় পাথুম নিসানকা ৩৭ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৫২ রান করে চাহালের বলে আউট হন।
এরপর চাহালের বলে একই রানে ফিরে যান চারিথ আসালঙ্কা। তিনি কোনো রান করতে পারেননি। এরপর কুশাল মেন্ডিসের ফিফটিতে শতরান পেরিয়ে যায় লঙ্কানরা। আর ১১০ রানের মাথায় ফেরেন গুনাথিলাকা (১)।
শেষ ৬ ওভারে শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ৬৪। টানা দুই ওভারে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে লড়াই বাঁচিয়ে রাখেন ভানুকা রাজাপাকসে। তিন ওভারে ৩৩ যখন দরকার, শানাকা হাঁকান একটি ছক্কা।
ফলে শেষ ১২ বলে শ্রীলঙ্কার জয়ের জন্য লাগে ২১ রান। ১৯তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারকে তৃতীয় আর চতুর্থ বলে টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন লঙ্কান অধিনায়ক শানাকা। শেষ ওভারে থাকে ৭ রান।
অর্শদীপ সিং চাপের মুখে দারুণ বোলিং করেন। প্রথম চার বলে দেন মাত্র ৫। এমন মুহূর্তে পঞ্চম বলটি ব্যাটে লাগাতে পারেননি শানাকা, তবে রানের জন্য দৌড় ঠিকই দেন।
উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্ত বল হাতে নিয়ে ননস্ট্রাইকে থ্রো করেন। সেখান থেকে আরও এক রান বাই। বাই ২ রান নিয়ে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটিতে জয়ের উল্লাসে মাতে লঙ্কানরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ১৭৪/৪ (১৯.৫ ওভারে)।
ব্যাটিং: শানাকা ৩৩* ও রাজাপাকসে ২৫*।
আউট: ৯৭/১ (নিসানকা ৫২), ৯৭/২ (আসালঙ্কা ০), ১১০/৩ (গুনাথিলাকা ১), ১১০/৪ (কুশাল ৫৭)।
বোলিং: চাহাল ৩/৩৪, অশ্বিন ১/২০।