বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের হারে উল্লাস ও ভারতবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীরে সাত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ও ইউএপিএ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । খবর এনডিটিভি
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা জম্মু ও কাশ্মীরের গান্ধেরবলে অবস্থিত শের-ই কাশ্মীর কৃষিবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী । এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হোস্টেল থেকে ওই ৭ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিশ্বকাপ ফাইনালের পরদিন।
জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারত হারতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে বাজি ফাটিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে ওই কাশ্মীরি শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদ জানায় অ-কাশ্মীরি আরেক শিক্ষার্থী। পরে তাঁর সঙ্গে আরও অনেকেই এর প্রতিবাদ জানায়।
তবে, এই গ্রেপ্তারের নিন্দায় জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহ। মেহবুবা মুফতি এর প্রতিবাদ করে বলেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও এর আগে খেলা দেখতে যেয়ে যারা ভালো খেলেছে তাদের হয়ে উল্লাস করেছেন।
বিপক্ষ দলেরও প্রশংসা করেছেন। তারা তো বলেন জম্মু ও কাশ্মীর সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে। তাহলে কয়েকজন শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ার জয় উদযাপন করায় এত ভয় আর আতঙ্ক কেন?
এদিকে এই ম্যাচ ছাড়াও বিশ্বকাপে অন্য কোনও ম্যাচে ভারত হারলে পাকিস্তানিদের একাংশকে উৎসবে মাততে দেখা যায়। আবার পাকিস্তানের হারেও ভারতে উল্লাস দেখা যায়। এই নিয়ে সম্প্রতি কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর এবং পাক কিংবদন্তী ওয়াসিম আকরাম।
এই নিয়ে ওয়াসিম সম্প্রতি বলেন, ‘দুই দেশেরই কিছু মানুষ থাকে যারা সাধারণ মানুষকে উসকে দেন এসব করতে। আমরা সবাই নিজেদের দেশকে সম্মান করি। আপনারা নিজের দেশকে সম্মান করেন আর আমরাও নিজেদের দেশকে সম্মান করি। ব্যঙ্গ করার পরিবর্তে একে অপরকে সম্মান করুন কারণ দিনের শেষে এটা শুধুমাত্র একটা খেলা’।
এদিকে গৌতম গম্ভীর বলেন, ‘যখন দুই দেশের সমর্থক একে অপরের হার উদযাপন করে তখন তা দেখতে আমার খুবই অদ্ভুত লাগে। এতে উদযাপন করার মতো কি আছে? অন্যের হারের বদলে নিজের দেশের জয় উদযাপন করুন। সেটা দেখতেও ভালো লাগে। এমন নোংরা মানসিকতা দ্রুত বদলানো উচিত, বিশেষ করে খেলার ক্ষেত্রে।’