শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকার দাবিতে আশুলিয়ায় দুটি কারখানায় হামলা চালিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এ সময় কারখানার সামনে পার্কিং করা দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেন তারা।
পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশের পাশাপাশি ১০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন রয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া উত্তরপাড়া এলাকার ফ্যাশন গ্লোব গ্রুপের এআর জিন্স ও নাসা গ্রুপের সেইন অ্যাপারেলস নামে কারখানায় হামালার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে কাঠগড়ার উত্তরপাড়া এলাকার ফ্যাশন গ্লোব গ্রুপের এআর জিন্সে হামলা চালান। এ সময় তারা কারখানার শ্রমিকদের বের করে আন্দোলনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেডের পার্কিং করা একটি প্রাইভেটকার ও একটি নোহা গাড়িতে ভাঙচুর চালান। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ফ্যাশন গ্লোব গ্রুপের সচিব লিটন জানান, তাদের কারখানা স্বাভাবিকভাবে চলছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারখানার পাশের আগামী অ্যাপারেলস ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা হঠাৎ করে কারখানায় হামলা চালান। পরে বাধ্য হয়ে শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে শ্রমিক আন্দোলনের পঞ্চম দিনে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আন্দোলনকারী কোনো শ্রমিককে দেখা যায়নি। গত তিন দিনের চেয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
তবে রাস্তার পাশের বিভিন্ন কারখানার মূল ফটকে নোটিশ টাঙিয়ে দিয়ে একদিনের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হলেও সেসব কারখানা বৃহস্পতিবারও বন্ধ ছিল। পোশাক কারখানার নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি ১০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন রয়েছে।
আশুলিয়া এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজিবির লে. কর্নেল রেজাউল কবির জানান, আশুলিয়ায় তাদের ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। নিয়মিত বিজিবি টহল কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তারা সজাগ রয়েছেন।
শিল্প পুলিশ-১ এর পরিচালক মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, গত তিন দিনের তুলনায় পরিস্থিতি ভালো। বৃহস্পতিবার অনেক ফ্যাক্টরিতে কাজ হয়েছে। রাস্তার পাশে থাকা ফ্যাক্টরিগুলোতেই বেশি ঝামেলা হচ্ছিল, এগুলো বন্ধ থাকার কারণে আজ কোনো ঝামেলা নেই।