জামালপুরের মেলান্দহ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মেহেদী হাসান পূর্ণকে ফরম ফিলাপের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ।
রোববার (২২ অক্টোবর) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জামালপুর জেলা শাখা’র সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় মোঃ মেহেদী হাসান পূর্ণ (সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মেলান্দহ সরকারি কলেজ শাখা)-কে তার স্বীয় পদ হইতে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
কেন তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না? তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব আগামী সাত (০৭) কার্যদিবসের মধ্যে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জামালপুর জেলা শাখা’র দপ্তর সেল বরাবর জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
সেই সাথে উক্ত বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জামালপুর জেলা শাখা কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মেলান্দহ সরকারি কলেজ শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মোঃ রাকিব খান (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মেলান্দহ সরকারি কলেজ শাখা দায়িত্ব পালন করবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেলান্দহ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের একাধিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জানান, মেলান্দহ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান পূর্ণ ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ১১জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফরম পূরণ করে দেওয়ার কথা বলে ৫২ হাজার ৮০০ টাকা নেন। পরে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ না করে দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ওই ছাত্রলীগ নেতার কাছে অনেক ঘোরাঘুরি করে। পরে তারা গতকাল রবিবার (২২ অক্টোবর) বিষয়টি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপিকে অবহিত করেন। এ ঘটনা জানার সাথে সাথে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে মেহেদী হাসান পূর্ণকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দেন মির্জা আজম এমপি। পরে তিনি ওই ভুক্তভোগীদের ফরম পূরণের টাকা নিজে দিয়েছেন বলেও সূত্রটি জানান।
এ বিষয়ে অব্যাহতি পাওয়া ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মেহেদী হাসান পূর্ণর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এবিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান বলেন, বলেন, ‘ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে এবং একটি নিয়ম নীতির মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচলিত হয়।
কিন্তু মেলান্দহ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তার বিরুদ্ধে কয়েকজন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার কারণে তাকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয় এবং সহ-সভাপতি রাকিব খানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।