এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই-ই করতে পারেনি বাংলাদেশ। মাত্র ১৯৩ রানে অলআউট হওয়া টাইগাররা হেরেছে ৭ উইকেটে। বল বাকি ছিল ৬৩টি। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
তবে আফগানিস্তানের কাছে ৮৯ রানের জয়ে গ্রুপ পর্বের বাঁধা পেরিয়েছিল তারা। কিন্তু বর্তমানে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল পাকিস্তানের কাছে ব্যাটে-বলের লড়াইয়ে পেরে উঠল না টাইগাররা। ফলে ৭ উইকেটের পরাজয়ে নিজেদের সুপার ফোর মিশন শুরু করল সাকিব বাহিনী।
আজ বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথমে ব্যাট করে ১৯৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ রান তোলে পাকিস্তান। এ সময় ২০ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে বিদায় নেন ফখর জামান। দলীয় ৭৮ রানে বাবর আজমকে তাসকিন বোল্ড করলেও রানের চাকা ঠিকই সচল রেখেছিল স্বাগতিক দল। বাবর ফেরেন ব্যক্তিগত ১৭ রানে।
পরে ইমাম উল হক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে গড়েন ৮৩ রানের জুটি। ৮৪ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকারে পরিণত হন ইমাম। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৪টি ছয়ের মার। ৩৯.৩ ওভারে দলের জয় নিশ্চিত করেন রিজওয়ান ও সালমান মিলে। রিজওয়ান শেষ পর্যন্ত ৬৩ ও সালমান ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আফগানদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে জ্বলে উঠতে পারেননি, নাসিম শাহর বলে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
লিটন দাস মেরে খেলা শুরু করলেও শাহিন শাহ আফ্রিদির শর্ট অফ লেন্থের বলে খোঁচা মেরে মোহাম্মদ রিজওয়ানের কাছে ক্যাচ তুলে দেন। ১৩ বলে ১৬ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। নাঈম শেখ হারিস রউফের বলে তার কাছেই ক্যাচ তুলে দেন। হৃদয় আউট হন দলীয় ৪৭ রানে। ফলে ভীষণ চাপে পড়ে টাইগাররা।
দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। পাকিস্তানের বোলারদের ওপর চাপ বাড়িয়ে বড় জুটি গড়ে তোলেন তারা। এরইমধ্যে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব। ৫৭ বলে ৫৩ রান করার পর ফাহিম আশরাফের বলে ফখর জামানকে ক্যাচ দেন তিনি। মুশির সঙ্গে তার জুটি হয় ঠিক একশ রানের।
মুশফিক এরপর শামিম পাটোয়ারিকে নিয়ে ইনিংস গড়ায় মনযোগী হন। হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেন তিনি। ফিনিশারের ভূমিকায় সুযোগ পাওয়া শামিম আফ্রিদির বলে দারুণ একটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু ইফতেখার আহমেদের বলে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ২৩ বলে ১৬ রান করেন এ ক্রিকেটার।
শামিম আউট হওয়ার সময় স্কোর বোর্ডে বাংলাদেশের রান ছিল ১৭৪, তখনও আশা দেখছিল টাইগাররা। কেননা উইকেটে যে ছিলেন একজন মুশফিকুর রহিম, অনেক আগেই যিনি মিস্টার ডিপেন্ডেবল হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। কিন্তু এদিন আর ভরসার পাত্র হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। ৬৪ রান করার পর সেই রউফের শিকারে পরিণত হন তিনি। এরপর টপাটপ আরও আরও ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। তাসকিনকে রউফ, আফিফ হোসেন ও শরিফুল ইসলামকে নাসিম শাহ প্যাভিলিয়নের পথ দেখান। ৩৮.৪ ওভারে অলআউট হয় বাংলাদেশ।