কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ছেলেকে নির্যাতন করে ঘরে তালাবদ্ধ রেখে বাবা বাইরে বসে থাকা অবস্থায় ছেলে সোহান (২১) ব্লেড দিয়ে গা কাটলেও বাবা শহিদুল ইসলাম বাইরে নির্বিকার বসে থাকা অবস্থায় পুলিশ ও প্রতিবেশীরা ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে । বর্তমানে ছেলের অবস্থা আশংকাজনক। শনিবার সকালে পৌরসভার তেবাড়ীয়া গ্রামের ঝাউতলায় এই ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী ওমর সহ কয়েকজন জানান, কয়েকমাস পূর্বে প্রবাসী শহিদুল ইসলাম তার ছেলে সোহানকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ তার স্ত্রীর নিকট থেকে নিয়ে আসেন। শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় তারা আলাদা বসবাস করেন। সোহান ও তার স্ত্রী কুমারখালী তার বাবার বাড়িতে আসার পর থেকেই পিতাপুত্রের মধ্যে বিভিন্ন ঝামেলা চলতে থাকে। শহিদুল ইসলাম মাঝে মাঝেই সোহানকে মারপিট করতো বলে তারা জানান।
এদিকে রেস্টুরেন্টের মালিক সাঈদ জানান, সকালের দিকে সোহান তাকে ফোন দিয়ে বলে তার বাবা তার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে সে আত্মহত্যা করবে। সাঈদ তাকে নানাভাবে বোঝান এবং সোহানের বাড়িতে গিয়ে দেখেন সিঁড়িঘরের কলাপসিবল গেট আটকানো তার বাবাকে তালা খুলতে বললে সে খুলেনি।
অবশেষে পাশের বাড়ির চালের উপর দিয়ে সোহানদের ছাদে উঠে নীচে নেমে বাইরে থেকে আটকানো ঘর খুলে গলা, বুক ও হাতের বিভিন্ন জায়গায় ব্লেড দিয়ে গভীরভাবে কেটে রক্তাক্ত অবস্থায় সোহানকে দেখতে পায়। এসময় প্রতিবেশীদের ফোন পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সহায়তায় সোহানকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে সোহানের অবস্থা আশংকাজনক।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে কেটে আত্নহত্যার চেষ্টা করাকালীন সংবাদ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাবার উপর অভিমান করে ছেলে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে বলে জানান তিনি।