পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এক বক্তৃতায় পুলিশ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
পাকিস্তানের ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি (পিইএমআরএ) রোববার এক বিবৃতিতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের’ বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ ও বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ এনেছে।
পিইএমআরএ বলছে, ইমরানের সাম্প্রতিক বক্তব্য সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। তাই সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে শুধুমাত্র তার রেকর্ড করা বক্তৃতা প্রচার করা যাবে। সরাসরি বক্তৃতা সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
বক্তব্য সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি পুলিশ ও বিচার বিভাগকে হুমকি দেয়ার অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির পুলিশ।
শনিবার এক রাজনৈতিক বক্তৃতায় পুলিশ ও বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে হুমকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে।
তিনি সেই বক্তৃতায় পুলিশপ্রধান এবং একজন নারী বিচারকের বিরুদ্ধে তার ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীদের আটক ও তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ করেন।
ইমরান সেই ঘোষণায় পুলিশপ্রধান ও নারী বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন।
পুলিশ সেই হুঁশিয়ারিকেই হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করেছে এবং পিইএমআরএ তার বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
পুলিশের তদন্ত শুরুর ঘোষণায় এরই মধ্যে পাকিস্তানজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
ইমরানের শত শত সমর্থক তার বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছেন এবং ইমরানকে আটক করা হলে রাজধানী ইসলামাবাদ দখলের শপথ নিয়েছেন জড়ো হওয়া সমর্থকরা।
পুলিশও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইমরান খানকে গ্রেপ্তার নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতেই তারা সেখানে উপস্থিত হয়েছেন।
২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন ইমরান খান। এ বছরের এপ্রিলের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের পর ইমরান খান দেশটির সেনাবাহিনী ও শাহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন সরকারের একজন সোচ্চার সমালোচক হয়ে উঠেছেন।
যদিও সেনাবাহিনীর সমর্থনেই তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল বিরোধীদের।
ইমরান বলেছেন, কোনোভাবেই তিনি চোরের দলকে (শাহবাজ নেতৃত্বাধীন সরকার) মেনে নেবেন না।
ইমরানের অভিযোগ, সরকার তাকে সেন্সর করতে চাইছে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানে এখন আগাম জাতীয় নির্বাচন চাইছেন।
মিরর/ এএস