সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি পদযাত্রা করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সংবিধান বিলুপ্ত, রাজবন্দিদের মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল ও বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এক দফা দাবি ঘোষণা করা হচ্ছে। এটা ঐতিহাসিক ঘোষণা। আর কোনো দফা নেই, এখন একদফা।
’
বুধবার (১২ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। উত্তাল আন্দোলন গড়ে তুলতে সবাইকে রাজপথে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি কোথাও ফয়সালা না হয়, ফয়সালা হবে রাজপথে। ’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীকে সরকার গুম করেছে। পুঙ্গু হয়ে গেছে অনেকে। খুন করা হয়েছে কয়েকশ’ নেতাকর্মীকে। তবুও দেশের তরুণ সমাজ রুখে দাঁড়াচ্ছে। তরুণ সমাজ নতুন বাংলাদেশ গঠন করবে। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। ’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনেক দেনা হয়ে গেছে সরকারের। দেশের সবকিছু ওঁরা ধ্বংস করে দিয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘সংবিধান লঙ্ঘনকারী সরকারকে সরিয়ে দিতে হবে। বিএনপি নির্বাচন চায়, তবে সেটা ২০১৪ আর ২০১৮ সালের কুমিরে খাওয়ার মতো নির্বাচন নয়। সুনামি যখন আসে কোনোকিছু ঠেকিয়ে রাখা যায় না। ’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষের প্রতিবাদের সুনামি শুরু হয়েছে। বাধা দিয়েও মানুষকে ঠেকিয়ে রাখা যায়নি। মানুষ পরিবর্তন চায়। এক মাসে ৯ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘বিচারপতি খায়রুল হকের ষড়যন্ত্রের কারণে দেশের বারোটা বেজে গেছে। দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত দুই নির্বাচন কারোর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এ জন্য তারা পুরো প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। ’
তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ থাকার শপথ বাস্তবায়ন করুন প্রশাসনের কর্তারা। যদি শপথ ভঙ্গ করেন, তবে এ জন্য শাস্তি পেতে হবে। ’
মির্জা ফখরুর আরও বলেন, ‘জেলে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেয়নি সরকার। যার ফলে এখন প্রতিদিন তাকে হাসপাতালে যেতে হয়। ’
তিনি বলেন, ‘মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যারা আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচারবিভাগসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে, তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সরকারের কোথাও জবাবদিহিতা নেই। তারা এমন আইনই পাস করে, যা তাদের ক্ষমতায় রাখবে। ’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর সেখান থেকে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনা হচ্ছে। আবার তাদের ২ শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে উৎসাহিত করা হয়েছে। ’