ভবিষ্যত আম্পায়ার তৈরির লক্ষ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) দেশটির ১৪০ জন নবীন আম্পায়ারের পরীক্ষা নেয়। যেখানে পাশ করে মাত্র তিনজন। বাকি ১৩৭ জনই ফেল করেন। বিসিসিআইয়ের অধীনে গত মাসে নেয়া পরীক্ষায় এমন ফলাফল এসেছে।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে নারী ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের জন্য আম্পায়ার বাছাই করার কথা ভেবেছিল বিসিসিআই। যা মূলত ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের অনুমতি পাওয়ার একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেয়া অধিকাংশ আম্পায়ার ন্যুনতম পাস মার্ক তুলতে ব্যর্থ হয়। এতে বিসিসিআইকে এখন নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্রমতে, ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৯০ নম্বর পেলেই পাশ করতো পরীক্ষার্থীরা। এরমধ্যে লিখিত পরীক্ষায় ছিল ১০০ নম্বর। এছাড়াও মৌখিক পরীক্ষায় ৩৫, ভিডিও পরীক্ষায় ৩৫ এবং শারীরিক ফিটনেসের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৩০ নম্বর।
ভিডিও পরীক্ষায় ম্যাচের পরিস্থিতি তৈরি করে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছিল। ভিডিও ও শারীরিক পরীক্ষায় উতরে গেলেও লিখিত ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় সবাই অকৃতকার্য হয়।
পরীক্ষায় ক্রিকেটের নিয়মকানুন ও টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে মোট ৩৭টি প্রশ্ন করা হয়। সেসব প্রশ্নের বেশির ভাগের উত্তর লিখতে পারেননি তারা।
এমন ফলাফলের বিষয়ে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘আম্পায়ারিং খুবই কঠিন কাজ। যাদের সত্যিকারের আগ্রহ ও ইচ্ছা রয়েছে তারাই শুধুমাত্র এগিয়ে যেতে পারে।
প্রাদেশিক অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঠানো আম্পায়ারদের মান ভালো নয়। বোর্ডের ম্যাচ পরিচালনার জন্য তাদের আরও জ্ঞান আহরণ করতে হবে।’
মিরর/ সাকিব