1. admin@dailymirrorofbangladesh.com : mirror :
  2. mstmomtazbegum32@gmail.com : MD Arman : MD Arman
  3. mamun.cou16@gmail.com : Mamun : Mamun
  4. m.sohag21st@gmail.com : Sohag Shah : Sohag Shah
  5. shiblyhasan1212@gmail.com : shibly hasan : shibly hasan
  6. mohiuddinahmadtanveer@gmail.com : Mohiuddin Ahmad Tanveer : Mohiuddin Ahmad Tanveer
ডিম-মুরগির দাম বাড়িয়ে ৫শ’ কোটি টাকা লুট » দ্যা মিরর অব বাংলাদেশ
২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| বসন্তকাল| সোমবার| দুপুর ১২:৫৪|

ডিম-মুরগির দাম বাড়িয়ে ৫শ’ কোটি টাকা লুট

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২
  • ১৭ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে
Untitled 1 15

দেশে গত ১৫ দিনে ডিম, মুরগির বাচ্চা ও মাংসের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে ভোক্তা ও ক্ষুদ্র খামারিদের কাছ থেকে প্রায় ৫২০ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে পোল্ট্রি খাতের বৃহৎ কোম্পানিগুলো।

 

শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ পোল্টি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘অস্থির ডিম, মুরগির বাজার, তবুও ভালো নেই খামারি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন সংগঠনটির নেতারা।

 

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, পোল্ট্রি কোম্পানিগুলো গত ১৫ দিনে ডিমের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা করেছে ১১২ কোটি টাকা। পাশাপাশি বাচ্চার দাম বাড়িয়ে লুটে নিয়েছে ২৩৪ কোটি টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়িয়ে লুটে নিয়েছে ১৭২ কোটি টাকা। এই সিন্ডিকেটে জড়িত রয়েছে পোল্ট্রি খাতের ১০-১২ টি দেশি-বিদেশি কোম্পানি।

 

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, দেশের পোল্ট্রি এখন মাফিয়া চক্রের হাতে চলে গেছে। কাজী ফার্মস, প্যারাগন, সিপি, নারিশ, ৭১, আফিল, সাগুনাসহ ১০ থেকে ১২টি বড় কোম্পানি যৌথভাবে এই মাফিয়া চক্র তৈরি করেছে। চক্রটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে প্রান্তিক খামারিদের ধ্বংস করতে চাইছে। এরই মধ্যে তাদের পরিকল্পিত চক্রান্তে সারাদেশে প্রায় অর্ধেক প্রান্তিক খামার বন্ধ হয়ে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমানে এক বস্তা ফিড প্রান্তিক খামারিকে কিনতে হলে লাগে ৩৩০০ টাকা, কিন্তু কোনো খামারি তাদের সাথে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং করলে ওই বস্তা পাওয়া যায় ২৫০০ টাকায়। অর্থাৎ তারা বস্তা প্রতি ফিডে লাভ করছে ৮০০ টাকা। তারা প্রতিটি ডিমে লাভ করছে তিন টাকা এবং প্রতিটি ব্রয়লারের বাচ্চা বিক্রি করে লাভ করছে ২০ থেকে ২২ টাকা।

তিনি জানান, দেশে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা সাড়ে চার কোটি পিস। এর মধ্যে বড় কোম্পানিগুলোই এই চাহিদার আড়াই কোটি সরবরাহ করে। প্রতি ডিমে তিন টাকা করে বেশি নিয়ে প্রতিদিন সাত কোটিরও বেশি টাকা তারা অবৈধভাবে লাভ করেছে। এভাবে গত ১৫ দিনে বড় কোম্পানিগুলো ডিমের বাজার থেকে ১১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

অন্যদিকে দেশের ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কমিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। এভাবে প্রতিদিন ১৯ কোটি ৫০ লাখ কেজি মজুত সংকট তৈরি করে এবং পরবর্তীতে তা ছেড়ে প্রতি কেজিতে বাড়তি নিয়েছে ১৫ টাকা। এর মাধ্যমে গত ১৫ দিনে তারা ১৭২ কোটি টাকার বেশি ভোক্তার পকেট কেটেছে। এছাড়া প্রতিদিন এক কোটি ৩০ লাখ বাচ্চা বিক্রি থেকে গত ১৫ দিনে ২৩৪ কোটি টাকা অবৈধ মুনাফা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো করা হয়, মুরগি ও ডিমের দাম আসলে আড়তে নির্ধারণ হয় না। সারাদেশে আড়ৎগুলোয় বড় কোম্পানির লোক থাকে। কোম্পানিরা যে দাম নির্ধারণ করতে বলে আড়তগুলোতে সেই দামই নির্ধারণ হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ায় দেশের প্রান্তিক খামারিরা অস্তিত্ব সংকটে পড়বে এবং প্রতিটি ডিম ২০ টাকায় খেতে হবে। আর ব্রয়লার মুরগি খেতে হবে ৪০০ টাকা কেজিতে। বড় কোম্পানিগুলো সেই নীলনকশা ধরেই এগুচ্ছে। তাদের এই চক্রান্তে মদদ দিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস খন্দকার, সহ-সভাপতি বাপ্পি কুমার দেবসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © THE MIRROR OF BANGLADESH 2024