1. admin@dailymirrorofbangladesh.com : mirror :
  2. mstmomtazbegum32@gmail.com : MD Arman : MD Arman
  3. mamun.cou16@gmail.com : Mamun : Mamun
  4. m.sohag21st@gmail.com : Sohag Shah : Sohag Shah
  5. shiblyhasan1212@gmail.com : shibly hasan : shibly hasan
  6. mohiuddinahmadtanveer@gmail.com : Mohiuddin Ahmad Tanveer : Mohiuddin Ahmad Tanveer
বশেফমুবিপ্রবি'র ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ » দ্যা মিরর অব বাংলাদেশ
২৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| বসন্তকাল| শনিবার| দুপুর ১:১৪|
শিরোনামঃ
লাইলাতুল কদরের সন্ধানে আল-আকসায় ১ লাখ ৮০ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় কুমারখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল শেখ হাসিনার ছেলের জন্ম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হাসপাতালে: কর্নেল অলি আহমদ কুমারখালীতে এম এ মজিদ শিক্ষার্থী কল্যাণ ট্রাষ্ট-এর বৃত্তি প্রদান শাপলা ক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘ইস্পাহানীয়ান পরিবার, কুবি’ এর উদ্যোগে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য ইফতার ও দোয়া মাহফিল বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল যারা বঙ্গভবনে নামাজে ইমামতি করলেন সেনাপ্রধান আত্মগোপনে থাকা আ.লীগ নেতার ঈদ উপহার পেল অসহায়রা কুমারখালীতে থানা পুলিশের সম্মানে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

বশেফমুবিপ্রবি’র ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ

সাকিব আল হাসান নাহিদ, জামালপুর।
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১৫ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে
jamal 2

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২য় বর্ষের জাকিয়া সুলতানা জয়া নামে এক শিক্ষার্থী র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক নূরে জান্নাতের বিরুদ্ধে হলে ডেকে নিয়ে র‌্যাগিং দেওয়ার অভিযোগ করছেন ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

 

সোমবার (৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের নূরুন্নাহার বেগম হলের ২৩৪ নম্বর রুমে র‌্যাগিং দেওয়ার ঘটনাটি ঘটে। এসময় ওই ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট ওই রুমে পরে থাকে। জ্ঞান ফিরলে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন।

 

এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান বরারব একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ওই লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আমি জাকিয়া সুলতানা জয়া, ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার ফিশারিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী নূরে জান্নাত আপু আমাকে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে বলেন। পরে আমি অসুস্থ শরীর নিয়ে গত রোববার দুপুর ২.৫০ মিনিটে হলে আসি।

 

হলে প্রবেশ করার পর আমাকে সিএসি বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আদর ভাইকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু উক্ত অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। পরদিন রোজ সোমবার সকাল ৯:৩০ মিনিটে আমাকে ও এনিকে (প্রথম বর্ষে ১ম সেমিস্টার, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্রী) হলের ২৩৪ নম্বর রুমে যেতে বলা হয় এবং উনার সঙ্গে দেখা করে ক্লাসে ঢুকতে বলা হয়। পরে ক্লাস মিস দিয়ে আমি ও এনি হলে যাই।

পরে আমাকে আবার ওই একই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং পরে আমাকে আমার জুনিয়র শিক্ষার্থী এনির সামনে ১০ মিনিট কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় এবং পরে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তাঁর ১ ঘন্টা পর একটু একটু জ্ঞান আসলে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, সোমবার রাত আটটার দিকে শিক্ষার্থী জয়া এ ঘটনায় অসুস্থ আরো বেশি হলে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ১২টার দিকে জামালপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে বুধবার দুপুরে তিনি বাড়িতে ফিরে যান।

 

এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন,’প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটছে। এনি নামে এক শিক্ষার্থী নূরে জান্নাতের কাছে হয়তো কোন বিচার দিয়ে ছিলেন প্রেম সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে। পরে নূরে জান্নাত দুইজনে ডেকে হলে এই ঘটনা ঘটায়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জয়া বলেন,’আমাকে হলে যে বিষয়ের জন্য ডাকা হয়েছে আমি সে বিষয়ে সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। কেন আমাকে হলে নিয়ে এরকম মানসিক নির্যাতন করা হলো তা আমি জানি না।

আমি অসুস্থ থাকার পরও বেশ কয়েকবার আমাকে হলে ডাকা হয় এবং সেখানে নিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয় এবং এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান ফেললে ওই আপু আমাকে ক্যাম্পাসের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। আমি বাসায় গিয়ে রাতে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমাকে উপাচার্য স্যার হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন।

 

তখন তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের কথা বলেছিলেন। এ বিষয়ে আমি প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই এবং বঙ্গমাতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা আর দ্বিতীয়বার যেন না ঘটে এটাই আমার প্রশাসনের কাছে চাওয়া।

 

ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী এনি জানান, আমি নূরে জান্নাত আপু বা অন্য কারো কাছে কোন বিষয়ে বিচার দেইনি। সে দিনই হলে গিয়ে তাকে (নূরে জান্নাত) আমি প্রথম দেখি। এর আগে তাকে আমি চিনতামও না। হলে আমাকে এবং জয়া (ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী) আপুকে কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। এক পর্যায়ে জয়া আপু জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আমার পরীক্ষা থাকায় কিছুক্ষণ পর হল থেকে আমি চলে আসি।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক নূরে জান্নাত বলেন,’এঘটনার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমায় শুধু শুধু হয়রানি করা হচ্ছে। ওই মেয়ে তো আগে থেকেই অসুস্থ ছিলো।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান বলেন,’আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান বলেন,’এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না, আর কিছু শুনিও নি। এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ বা কেউ কিছু বলেনি।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © THE MIRROR OF BANGLADESH 2024