যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যে বক্তব্য প্রদানকালে হামলার শিকার হন ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক সালমান রুশদি। এরপরই ওই হামলাকারীকে আটক করে পুলিশ। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে হামলাকারী একজন তরুণী।
নিউ ইয়র্কের শাটোকোয়া ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন বুকার পুরস্কার বিজয়ী এই লেখক। এ সময় তার উপরে ছুটি দিয়ে হামলা চালায় ওই তরুণী। তবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
হামলার পরই রুশদিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা কেমন এখনও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এক ব্যক্তি দৌঁড়ে মঞ্চে ওঠেন। রুশদির সঙ্গে পরিচয় হওয়ার সময় তাকে ঘুষি বা ছুরিকাঘাত করতে দেখেছেন তারা। অনলাইনে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘটনার পরপরই মঞ্চে ছুটে আসছেন অংশগ্রহণকারীরা।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ ঔপন্যাসিক ১৯৮১ সালে ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ উপন্যাস দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন; কেবল যুক্তরাজ্যেই এটির ১০ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়েছিল।
১৯৮৮ সালে ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ উপন্যাস লেখার পর থেকে বছরের পর বছর প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে আসছেন রুশদি। এই বই লেখার জন্য রুশদিকে ৯ বছর আত্মগোপনে থাকতে হয়েছিল।
পরাবাস্তববাদী, উত্তর-আধুনিক উপন্যাসটি কিছু মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল; যারা এর বিষয়বস্তুকে নিন্দাজনক বলে মনে করেন। কিছু দেশে বইটি নিষিদ্ধও করা হয়েছিল।
বইটি প্রকাশের এক বছর পর, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি রুশদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আহ্বান জানান। তার মাথার জন্য ৩০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন আয়াতুল্লাহ খোমেনি।