আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি ইদানিং রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দামও বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত। সঙ্গে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এই সময়ে পকেটের কথা ভেবে অপ্রয়োজনে রান্নার গ্যাসের ব্যবহার কমানো প্রয়োজন। যদি কিছু টিপস মানা হয়, তাহলে রান্নার গ্যাসের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার বন্ধ করা যায়। তাহলে জেনে নেয়া যাক-
পরিমাণ অনুযায়ী রান্নায় পানি ব্যবহার করা: রান্না করার সময় অনেকেই অপ্রয়োজনে অনেকটা পরিমাণ পানি ব্যবহার করেন। গ্যাসে রান্নার সময়ে সর্বদা পরিমাণ অনুসারেই পানি দেওয়া উচিত। কারণ, পানি বেশি হলে ফুটতে বেশি সময় লাগে। এতে রান্নাতেও দেরি হয়। সেদ্ধ করার পর পানিটা তো ফেলেই দেবেন। তাই এই অভ্যাসে পানি এবং গ্যাস দুটোই বাঁচবে।
সবজি ছোট ছোট টুকরো করে কাটুন: সবজি রান্নার জন্য খুব বড় টুকরো করে কাটবেন না। এতে সবজি দ্রুত সেদ্ধ হতে চায় না। সবজির বড় টুকরো সেদ্ধ হতেও বেশি সময় নেবে। তাই সবজি সব সময় ছোট ছোট টুকরো করেই কাটুন। এতে কম আঁচে তাড়াতাড়ি সবজি সেদ্ধ হয়ে যাবে।
বার্নার পরিষ্কার রাখুন: অপরিষ্কার বার্নার থাকলে কিন্তু গ্যাস অনেক বেশি খরচ হয়। কাজেই নিয়মিত বার্নার পরিষ্কার করুন। বার্নার থেকে যদি নীল রঙের আগুনের শিখা বের হয়, তাহলে বুঝবেন যে আপনার বার্নারটি পরিষ্কার এবং এতে যেহেতু সমানভাবে গ্যাস বের হতে পারে, কাজেই খরচও কম হয়। কারণ, রান্নাটা তাড়াতাড়ি হয়। আবার যদি দেখেন আগুনের রং লালচে বা হলদে, তখন বুঝতে হবে, বার্নার পরিষ্কার করার সময় এসেছে।
ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন: খাবার ঢেকে রান্না করলেও বাঁচানো যাবে গ্যাস। যে মুহূর্তে আপনি কড়াইতে ঢাকনা দিয়ে রান্না করবেন। তাপ থেকে উৎপন্ন হওয়া বাষ্প আবার কড়াইতেই ফিরে আসবে, উড়ে যাবে না। ফলে সবজি বা ডাল বা মাংস তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হবে এবং আপনারও রান্নার গ্যাস বাঁচবে।
রাইস কুকার বা প্রেসার কুকারের ব্যবহার: রান্নার কাজে রাইস কুকার বা প্রেসার কুকারের ব্যবহার যতটা সহজ ঠিক ততটাই সাশ্রয়ী। এই ব্যস্ততার যুগে ইদানিং প্রেসার কুকারে রান্না করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন রাঁধুনিরা। কুকারে কেবল ভাত ছাড়াও আরও নানা পদ রান্না করা যায়।