আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি২০ সিরিজ জিততে ১১৯ রান চাই বাংলাদেশের। আজ সিলেটে দ্বিতীয় ও শেষ টি২০ ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করা আফগানিস্তানকে ১১৬ রানে বেধে ফেলেছে টাইগাররা। তবে বৃষ্টি আইনের কারণে জিততে আরও ২ রান বেশি করতে হবে বাংলাদেশকে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আফগানিস্তান ইনিংসের ৭.২ ওভারের সময় নামে বৃষ্টি।
খেলা বন্ধ থাকে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো। এরপর আবার খেলা শুরু হলে ওভার কমে আসে ১৭ তে। ওভার কমে আসলেও শেষদিকে টাইগার বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ব্যাট চালিয়েও সংগ্রহ বেশি বড় করতে পারেনি আফগানরা।
টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তান আজ শুরু থেকেই ছিল চাপে। তাসকিন আহমেদ নতুন বলে ঝরান আগুন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ফেরান তাসকিন। ছক্কা হজমের পরেই তার বাউন্সারে ক্যাচ তুলে দেন আফগান ওপেনার। ক্যাচটি নিজেই লুফে নেন তাসকিন। ৮ রানেই শেষ হয় গুরবাজের ইনিংস।
নিজের পরের ওভারে আরেক হজরতুল্লাহ জাজাইকেও সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন তাসকিন। ব্যাক অব দ্য লেংথে ফেলা বল জাজাইয়ের ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় কিপার লিটন দাসের গ্লাভসে। ৪ রানেই ফিরতে হয় এ বাঁহাতি ওপেনারকে।
পাওয়ারপ্লেতে আর কোনো উইকেট হারায়নি আফগানিস্তান। তবে সেভাবে আসেনি রানও। ইনিংসের অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব আল হাসান। তার দ্বিতীয় বলে আফগানরা সিঙ্গেলস নেওয়ার পরেই নামে বৃষ্টি। বন্ধ হয় খেলা।
এরপর আবার খেলা ফিরলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। নবম ওভারে নাসুম আহমেদের করা পরপর দুই বলে দুইবার জীবন পান মোহাম্মদ নবী। নাসুমের বলে একবার নবীর ক্যাচ ছাড়েন সাকিব আল হাসান। পরের বলেই লিটন দাস গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি বল। তবে পরের ওভারের প্রথম বলেই সেই নবীকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। ১৬ রান করা নবী ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে থাকা লিটন দাসকে।
পরের ওভারে সাকিব হানেন জোড়া আঘাত। প্রথম বলেই ফেরান বাংলাদেশ অধিনায়ক ফেরান ইব্রাহিম জাদরানকে (২২)। আর শেষ বলে সাকিবের বলে বোল্ড হন নাজিবুল্লাহ জাদরান (৫)। আজমতুল্লাহ ওমরজাই এবং করিম জানাত শেষদিকে ভালোই ব্যাট চালান। খেলেন বড় কিছু শট। তবে ২৫ রান করে ওমরজাই মুস্তাফিজ এবং ২০ রান করে করিম তাসকিনের শিকার হন।