কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেনের বিরুদ্ধে সড়কের গাছ কেটে নেবার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট) সকালে কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা বিলপাড়া সড়কের পাশের ১৪ টি গাছের মধ্যে ৬ টি মেহগুনি গাছ কাটা হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮০ হাজার টাকা।
অবশিষ্ট গাছ কাটার আগেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গাছ কাটা বন্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। কয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য শাহিন আলী বলেন, সড়কের পাশের গাছ কাটার খবর শুনে তিনি সরেজমিন গিয়ে গাছ কাটা শ্রমিকদের জিজ্ঞেস করলে তারা জানায় আওয়ামীলীগ নেতা আকাদ্দেছ গাছ কাটাচ্ছেন। তিনি শ্রমিকদের বলেন আকাদ্দেছকে খবর দিতে।
আকাদ্দেছ এসে তাকে জানায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছে। এসময় চেয়ারম্যানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে চেয়ারম্যান তাকে জানায় পরিষদের সড়কের গাছ কাটা হচ্ছে এ বিষয়ে কথা না বলতে। পরবর্তীতে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এসে অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
এবিষয়ে কয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকাদ্দেছ বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছে। তিনি শুধু দেখাশোনা করছেন।
গাছ কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে কয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, তিনি গাছ কাটবেন কেন? সড়কের পাশ থেকে যে ব্যক্তি গাছ কেটেছে সে তার জমির সীমানা বলে দাবী করছে। বিষয়টি তিনি ইউএনও কে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল জানান, সড়কের গাছ কেটে নেবার খবর পেয়ে তহশিলদারকে পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ ও যে গাছ কাটা হয়েছে সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন গাছ পাবলিকের সীমানা থেকে কাটা হয়েছে। জমির সীমানা পরিমাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।