শেষ ওভারে ইনিংসে প্রথমবারের মতো এসেছেন মাশরাফি। সংক্ষিপ্ত রানআপে। প্রথম বলে ওয়াইডের পর মঈন লং অনে খেলে নেন সিঙ্গেল।
লং অফে সিঙ্গেল নিয়ে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন চার্লস, যিনি অপরাজিত থাকেন ৫২ বলে ৭৯ রানে। ৮ রানে দাঁড়িয়ে জীবন পেয়েছিলেন চার্লস, সেই তিনিই কুমিল্লার টানা দ্বিতীয় শিরোপা ও সর্বমোট চতুর্থ শিরোপা জেতার অন্যতম নায়ক!
নাজমুল হোসেন শান্ত আর মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে ১৭৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সিলেট।
১৭৬ রানের লক্ষ্যে ৩৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল কুমিল্লা। তবে লিটন ও মঈনের সঙ্গে চার্লসের দুটি জুটিতে বড় জয়ই পেল তারা।
শেষ ৪ ওভারেও প্রয়োজন ছিল ৫২ রান, তবে কুমিল্লার লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ তাদের আশা জোগাচ্ছিল নিশ্চিতভাবেই। ক্রিজে থিতু হওয়া চার্লসের সঙ্গে ছিলেন মঈন। আন্দ্রে রাসেল, মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে আসতে বাকি ছিলেন জাকের আলী। তবে তাঁদের আর প্রয়োজন পড়ল না। কাজ শেষ করলেন চার্লস ও মঈনই। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে উঠেছে ৭২ রান, মাত্র ৪০ বলে।
বিপিএলের ইতিহাসে এটিই এখন ফাইনালে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। ২০১৫ সালে বরিশাল বুলসের ১৫৬ রান তাড়া করে জিতেছিল কুমিল্লাই। নিজেদের রেকর্ডই ভাঙল তারা। অন্যদিকে সিলেটের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির শিরোপার অপেক্ষা বাড়ল আরেকটু।
তৃতীয়বারের মতো অধিনায়ক হিসেবে ফাইনাল জিতলেন ইমরুল কায়েস। চারটি ফাইনাল জেতার পর অবশেষে হারলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সব মিলিয়ে কুমিল্লার এটি চতুর্থ বিপিএল শিরোপা।
এর আগে সিলেটের হয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তৌহিদ হৃদয় (০)। মাশরাফি আরও একবার নেমে গিয়েছিলেন ওয়ান ডাউনে। তবে আজ ৪ বলে মাত্র ১ করে আউট হয়ে যান সিলেট দলপতি।
দ্বিতীয় উইকেটে শান্ত আর মুশফিক মিলে ৫৬ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন। শান্ত ৪৫ বলে ৯ চার আর ১ ছক্কায় ৬৪ রানের ইনিংস খেলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মঈন আলির বলে।
এরপর রায়ান বার্ল ১১ বলে ১৩, থিসারা পেরেরা ০ আর জর্জ লিন্ডে ৬ বলে ৯ রান করে ফিরে গেলে মুশফিক একাই হাল ধরেন। ৪৮ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।