সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের মামলা বাতিল করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাব কেনা ও তা আত্মসাত এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ মামলা গুলো দায়ের করেছিল।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন। পাঁচটি মামলা বাতিলের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার।
এসব মামলায় অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী ও জাতীয় সংসদের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
আদালতে জমির উদ্দিন সরকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দুদকের পক্ষে ছিলেন সারোয়ার আহমেদ।
তবে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে জমির উদ্দিন সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপসহকারী পরিচালক এসএম খবীরউদ্দিন বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলাগুলো দায়ের করেন। এসব মামলায় অভিযোগ পত্র আমলে নেন আদালত। এ অবস্থায় হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন জমির উদ্দিন সরকার। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৬ সালের মে মাসে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এসব আবেদনের বিভক্ত আদেশ দেন। পরে তৃতীয় বেঞ্চ রুল খারিজ করে দেন। এরপর আপিল বিভাগে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার।
বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য তৎকালীন প্রধান বিচারপতি কর্তৃক গঠিত একক বেঞ্চ মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে।