সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেউ ভাঙচুর করলে দুই থেকে সাত বছরের কারাদন্ড হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব খান।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের ও তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, আমরা সাংবাদিকদের কার্যবান্ধব এবং সহযোগী হিসেবে রাখার জন্য সব সুযোগ রেখেছি। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবে। যখন ভোট গণনা হবে, সেটাও ভিডিও করতে পারবে সাংবাদিকরা। এর চেয়ে বেশি স্বচ্ছতা কী হতে পারে। সাংবাদিক হিসেবে আপনারা সঠিক জিনিসটা প্রকাশ করবেন। এতে নির্বাচন কর্মকর্তারা সচেতন ও সতর্ক হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যে বাধায় হোক না কেন, সবল কিংবা দুর্বল প্রার্থী সবাই আমার কাছে সমান। ৭ জানুয়ারি ভোটে কারচুপি হলে সেই ভোটকেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে ওই কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সে যত শক্তিশালীই হোক না কেন আর দুর্বলই হোক না কেন সবাই কমিশনের কাছে সমান। একটা দুইটা সহিংস ঘটনায় কথা না শুনলে পত্র দেয়া হবে, পত্রে কাজ না হলে অ্যাকশন, এমনকি বেশি সহিংসতা করলে প্রার্থীতাও বাতিল হতে পারে।
সাংবাদিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কার্যবান্ধব সহযোগিতায় রাখার জন্য যা যা করার, সবই করা হয়েছে। আর ভোটারদের বাড়ি থেকে কেন্দ্রে এনে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট প্রদান করার সব ব্যবস্থা কমিশন গ্রহণ করেছে।
এসময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা, পুলিশ সুপার এ এইস এম আব্দুর রকিব, সংসদ সদস্য প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধি এবং বিজিবিসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।