রাতারাতি ভোল পাল্টে ফেললেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। বুধবার জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সমকালের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় লিখেছিলেন বিসিবি অধ্যায় শেষ করে ফেলেছেন। বিসিবিকে ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত কিনা- জানতে চাওয়া হলে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘হ্যাঁ’। ২৪ ঘণ্টাও নিজের অবস্থানে ঠিক থাকতে পারেননি তিনি।
গতকাল দেশি-বিদেশি কিছু মিডিয়াকে উল্টো কথা বলেছেন। চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত সত্য নয় বলে দাবি তাঁর। বিসিবির সঙ্গে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করতে চান তিনি।
এর অর্থ হলো, সমকাল বা অন্য কোনো মিডিয়ার সঙ্গে সত্য কথা বলেননি ডমিঙ্গো। বিসিবিকে পর্যন্ত ভুল তথ্য দিয়েছেন তিনি। যে কোচ নিজের সুবিধার্থে অসত্য বলতে পারেন, তাঁর কাছে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা কতটা নিরাপদ, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
টি২০ দলের কোচের পদ থেকে বাদ পড়ে বিসিবির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে কালবিলম্ব করেননি ডমিঙ্গো। বিসিবির এক পরিচালকের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেরার আগে।
বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী গতকাল সেই কোচের পক্ষেই ঢাল হয়ে দাঁড়ান। ডমিঙ্গোর চাকরি ছাড়ার তথ্য মিডিয়ায় ভুলভাবে এসেছে বলে দাবি তাঁর।
তিনি আরও জানান, আরব আমিরাতে ‘এ’ দলের সফরে থাকবেন ডমিঙ্গো। ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজেও দায়িত্ব পালন করবেন। বিসিবিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিকল্পনা দেবেন। বিসিবি কর্মকর্তারা কি তাহলে মেনে নিচ্ছেন বোর্ডের বিরুদ্ধে ডমিঙ্গোর তোলা সব অভিযোগ সত্য?
ডমিঙ্গোর এজেন্ট কলকাতার কাস্তভ লাহিরি। বিসিবির সঙ্গে ডমিঙ্গোর বিতর্কিত চুক্তির রূপকার তিনি। লাহিরির পাতা ফাঁদে পা দিয়ে এখন পস্তাতে হচ্ছে বোর্ডকে। চুক্তির বাধ্যবাধকতা থাকায় ডমিঙ্গোকে চাকরি থেকে বাদ দিতে পারছে না। যে বা যাঁরা চুক্তি করেছিলেন, তিনি একবারও ভেবে দেখেননি কতটা ক্ষতি করছেন বিসিবির।
বিকল্প পথ খোলা না থাকায় টি২০ দলের জন্য শ্রীধরন শ্রীরামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পরামর্শক হিসেবে। পদবি ভিন্ন হলেও প্রধান কোচের ভূমিকাই পালন করছেন তিনি।
বিসিবি নীতিনির্ধারকদের তাই অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৩০ নভেম্বরের জন্য। টাকার লোভে ডমিঙ্গোও নিজের মান সম্মান বিসর্জন দিয়ে যাচ্ছেন। একটি সূত্রে জানা গেছে, এ ক্ষেত্রেও কাস্তভ লাহিরি এবং বিসিবির এক কর্মকর্তা জড়িত। তাদের কথামতোই কলের পুতুল হয়ে ডমিঙ্গো অসত্য বলছেন মিডিয়াকে। তিনি হয়তো ভুলে গেছেন, সমকালের কাছে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের রেকর্ড রয়েছে।