আপনার সন্তান কে পাঠশালায় ভর্তি করার আগে মানুষ হবার ট্রেইনিং দিন। তাকে সমাজের মানুষের সাথে মেলেমেশা করতে দিন এতে করে সে সামাজিকতা শিখবে।তাকে বন্ধুদের সাথে খেলতে দিন এতে করে সে চঞ্চলতা শিখবে, বন্ধুদের সাথে মারামারি করতে দিন এতে করে সে ডানপিঠে হবে, তাদের কে লোকাল বাস,
ট্রেনে চড়তে দিন এতে করে সে অবস্থা মোকাবিলা করা শিখবে,বন্ধুদের সাথে ঘুড়ে বেড়াতে দিন এতে করে সে কৌতূহলী হবে, চৌকস হবে, তাকে বাজারে নিয়ে যান এতে করে সে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, তাকে এতিমখানায় নিয়ে যান, তাকে বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে যান এতে করে সে দায়িত্নবান হবে।
এরপর তাকে পড়াশোনায় উদ্বুদ্ধ করুন। তাহলে সে বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে বাস্তবিক মানুষ হবে।
কিন্তু আমরা কি করি?
আমরা বাল্যকালেই শিশুকে গৃহপালিত পশুর মতো গৃহবন্দি করে ফেলি, খেলাধূলার বদলে মোবাইল গেমস আর এ্যনিমেশন ধরিয়ে দেই, ময়লা ,নোংরা বলে তাকে কিছুই করতে দেইনা,ধরতে দেইনা ফলে সে কোথায় কি করতে হবক জানেনা! সর্বপরী তাদের কে বাস্তবিক শিক্ষা থেকে যোজন যোজন দুরে রাখি।
তাদের কে পাঠ্য পুস্তকের মুখস্ত বিদ্যায় মুখস্ত মানুষ করি ফলে সে স্থান কাল পাত্রভেদ বুঝতে না পেরে প্রয়াত জৈনক লোকের ছেলের মতো মহিলাদের মতো চুল রেখে কালো সানগ্লাস পড়ে, বাবার জানাযায় দাড়িয়ে স্মাইলিং ফেস নিয়ে আধো বাংলায় সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দিবে। I’m sorry but this is the reality!