সাকিব আল হাসান নাহিদ, জামালপুর।
মা বাবার কোল আলো করে দুই মাস আগে জন্মগ্রহণ করেছে শিশু মোঃ আরিয়ান। ফুটফুটে এ শিশুটির জন্মগত ভাবেই মাথায় বড় টিউমার। দ্রুত অপারেশন না করলে শিশুটিকে হয়তো বাঁচানো সম্ভব হবে না।
জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার ভাটার ইউনিয়নের ধুপাদহ গ্রামের মোঃ রুবেল মিয়া ও মোছাঃ আমেনা বেগম দম্পতির কোল জুড়ে আসে শিশু মোঃ আরিয়ান। এই দম্পতির ৮ বছরের আরেকটি ছেলে রয়েছে সে স্থানীয় একটি এতিমখানায় পড়াশোনা করছে।
শিশু আরিয়ান দুইমাস আগে মাথার চেয়েও বড় টিউমার নিয়ে জন্ম নেয় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে। কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর নবজাতককে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে শিশু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা বাবদ মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়। যার ব্যয়ভার বহন করা দরিদ্র পরিবারের পক্ষে সম্ভব হয়নি। অসুস্থ শিশুটিকে নিয়ে ফিরে আসে গ্রামের বাড়ি জামালপুরে।
শিশু আরিয়ানের বাবা রুবেল মিয়া ও আমেনা বেগম দুইজনই ঢাকার টঙ্গী একটি গার্মেন্টসে কর্মরত ছিলেন। মা আমেনা বেগমের শিশুটি পেটে আসার ৬মাসের মাথায় চাকরি ছাড়তে হয়েছে। শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে সময় দেওয়ায় বাবা রুবেল মিয়ার চাকরিটাও চলে যায়।
শিশুসন্তানের এ অসুস্থতা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে দরিদ্র এই পরিবারটির। সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েও সন্তানের চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটাতে পারছেন না আরিয়ানের বাবা।
এদিকে চিকিৎসকরা বলছেন, দ্রুত অপারেশন করতে। এমন অবস্থায় শিশুটির টিউমার অপারেশন করার জন্য উন্নত চিকিৎসায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া অতি প্রয়োজন এবং শিশুটির প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ২ লক্ষ টাকা দরকার। কিন্তু অভাবের সংসারে তার পরিবারের চিকিৎসার ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। একদিকে সংসারের অভাব, অন্যদিকে বাচ্চার টিউমার।
তাই তার শিশুকে বাঁচাতে মানবিক সাহায্যের জন্য রাস্তায় রাস্তায় মানুষের কাছে সাহায্য চাইছেন দরিদ্র অসহায় পরিবারটি।
আরিয়ানের মা আমেনা বেগম ছেলের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
মানবিক সাহায্যে এগিয়ে আসতে চাইলে যোগাযোগ: শিশু আরিয়ানের দাদা রবিউল ইসলাম কালু
বিকাশ নাম্বার (01633317529)