শেষ উইকেট হিসেবে উমরান মালিকের বলে বোল্ড মোস্তাফিজ। ৩৪তম ওভারের শেষ বলে ১৮২ রানেই থামল বাংলাদেশ। ধবলধোলাইয়ের লক্ষ্যে চট্টগ্রামে এসে হারতে হলো ২২৭ রানের বড় ব্যবধানে। রানের হিসেবে বাংলাদেশের এর চেয়ে বড় ব্যবধানে হার আছে মাত্র একটি। এর আগে পাকিস্তানের কাছে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে (২৩৩) হেরেছিল বাংলাদেশ।
ওয়ানডেতে ভারতের সবচেয়ে বড় জয় শেষ জুটিতে ঠেকিয়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহেমদ। একই সঙ্গে এড়ালেন এই সংস্করণে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হারও। তবে শেষ পর্যন্ত বড় হার এড়াতে পারলেন না।
৪০৯ রানের লক্ষ্য, বাংলাদেশ চাপে ছিল প্রথম ইনিংস শেষেই। সেটিই সামলাতে পারেনি তারা। ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো উইকেটে ২০০ রানের আগেভাগেই থেমে যাওয়া ধাক্কা দিতে পারে ব্যাটিংয়ের আত্মবিশ্বাসে। এ সিরিজে মিরাজ ছাড়া ব্যাটিংয়ে বিবর্ণ ছিলেন কমবেশি সবাই, আজও থাকলেন। অন্যদিকে প্রাপ্তি দিয়েই শেষ হলো ভারতের সিরিজ।
২০১৫ সালে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করার পর শেষ ম্যাচটি হেরেছিল বাংলাদেশ। এবারও হলো তেমনই। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো স্বাগতিকদের।
লক্ষ্য তাড়ায় সাকিব আর হাসান সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। ২৯ রান করেন লিটন দাস। ইয়াসির আলী রাব্বি ২৫ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আউট হন ২০ রান করে। শেষ দিকে তাসকিন আর মোস্তাফিজের দৃঢ়তা পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমিয়েছিলো শুধু। তাসকিন অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে। ২টি ছক্কা মারেন তিনি। ১৩ রান করে আউট হন মোস্তাফিজ।