আজ যদি খালিদ বিন ওয়ালিদ বেঁচে থাকতেন তবে খোলা তরবারি হাতে একাই সুইডেন অভিমুখে যাত্রা শুরু করতেন। আজ মুসলিম বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কেউ নেই বলে বেদুঈনরা প্রকাশ্যে কোরআন পোড়ানোর ধৃষ্টতা দেখায়!
তারা সামুদ জাতির কথা ভুলে যায় যাদের আল্লাহ প্রচন্ড আওয়াজের মাধ্যমে নিজ নিজ গৃহে মুখ থুবড়ে পড়ে ধংস করেছিলেন৷ তারা নুহ (আঃ) এর জাতির কথা ভুলে যায় যাদের আল্লাহ প্রচন্ড প্লাবনের মাধ্যমে ধংস করেছিলেন। তারা লুত (আঃ) এর বাহরে লুত জাতি বা সাদুম নগরীর কথা ভুলে যায় যাদেরকে আল্লাহ প্রচন্ড ভূমিকম্পের মাধ্যমে পুরো জমিনকে উল্টিয়ে দিয়ে ধংস করেছিলেন৷
সেখানে এখনো সেই নিদর্শন আছে। গিয়ে দেখো মৃত সাগর যেখানে এখনো গন্ধক পাওয়া যায়। তারা হুদ (আঃ) এর #আদ জাতির কথা ভুলে যায় যাদেরকে আল্লাহ কালো মেঘের থেকে সৃষ্ট ঝড়,তুফান, বর্ষণ দিয়ে ধংস করেছিলেন।
তারা শোয়াইব (আঃ) এর আহলে মাদিয়ান সম্প্রদায়ের কথা ভুলে যায় যাদেরকে আল্লাহ দুর্ভিক্ষ দিয়ে ধংস করেছিলেন৷ তারা ফেরাউন এর কথা ভুলে যায় যার জাতিকে আল্লাহ নীল নদের সাগরে ডুবিয়ে ধংস করেছিলেন”
তারা ইতিহাস ভুলে যায়৷ তারা তো নিকট ভবিষ্যতের করোনা ভাইরাস এর কথাই ভুলে গেছে যেখানে আল্লাহ বুঝিয়ে দিয়েছেন “তোমরা কতোটা অসহায়, কতোটা দুর্বল ” তবে তারা যদি ভুলে গিয়ে থাকে তবে আল্লাহ তাদের আবারো মনে করিয়ে দিবেন গজব কিংবা আজাবের মাধ্যমে।
সুইডেন এর বেদুইনরা কোরআন শরীফ পুড়িয়ে কি কোরআন নিশ্চিহ্ন করতে পারবেন? কোরআন সংরক্ষণের দায়িত্ব তো স্বয়ং আল্লাহ নিজে নিয়েছেন৷ কোটি কোটি হাফেজে কোরআন এর কলবের মধ্যে কোরআন লিপিবদ্ধ করে দিয়েছেন৷ সুতরাং বেদুঈনদের ইচ্ছা কোনোদিনই বাস্তবায়িত হবেনা৷
আমি সরকারকে অনুরোধ জানাবো, অতিসত্বর সুইডেন এর রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে তাদের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হোক৷ ওআইসি কে অনুরোধ জানাবো সুইডেন এর সকল পণ্য গোটা মুসলিম বিশ্বে নিষিদ্ধ করা হোক। বাকি শাস্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে আসবে৷
পরিশেষে বলতে চাই, মুসলমান কোনোদিন কারো ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়ে দেয়নি। বরং অন্য ধর্মের লোকজন বারংবার কোরআন পোড়ানোর ধৃষ্টতা দেখিয়েছে৷ এতেই প্রমাণিত হয় ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং সম্প্রীতির ধর্ম।