মাটির মানুষ নিলুফার ইসলাম। সহধর্মিণী মাননীয় রেলমন্ত্রী আড্যভকেট নুরুল ইসলাম সুজন। একজন স্ত্রী তার জীবনের ৩৩ বছর দিয়ে সংসার গুছিয়েছে, সন্তান দের বড় করেছে। আমার বাবা জনাব, নুরুল ইসলাম সুজন এর পাশে ঝড়, তুফান সব সময় ঢাল হয়ে পাশে থেকেছে। কারন তার আদর্শের নারী ছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
১৯৮৬ সালে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হবার পর, প্রথম বছর থেকেই নানা অসুবিধা দেখেন, আর্থিক অসুবিধা দেখেন। তবে স্ত্রী হিসেবে স্বামীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার উত্থান এ পাশে ছিলেন সবসময়ই। ৩ সন্তান এর সাথে পঞ্চগড়বাসী ছিল তার আরেকটি পরিবার। পঞ্চগড় এর কোন মানুষ না খেয়ে তার বাড়ি থেকে কখনো ফিরেননি। ৩৩ বছর পাশে থাকার আর তার অমায়িক হাসি, নমনীয় ব্যবহার মানুষকে মুগ্ধ করেছে বারবার।
কত সুখ, কত রাত জাগার, কত কষ্টের বিনিময়ে আজ আমার পিতা রেল মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহন করেছে। এর আগে তিনি অক্লান্তভাবে পরিশ্রম দিয়ে আমার বাবাকে ২বার সংসদ সদস্য হতে সাহায্য করেছেন। তার এই সফলতার অর্ধেক দাবিদার নিলুফার ইসলাম আমার মা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে যেমন কাছে থেকে পাশে থেকে সাহায্য করেছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সেই প্রতিবাদ্ধ লক্ষ করে ময়দানদিঘী দাখিল মাদ্রসায় গরিব,দুখি,অসহায়, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেছিলেন, শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরন করেছিলেন বোদা ও দেবীগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা গরিব দুখি অসহায়দের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রানালয়ের মাননীয় মন্ত্রী এ্যাডঃ মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন মহোদয়ের সহধর্মিণী মানবতাকে যিনি হার মানিয়েছেন মানবতার মা নিলুফার ইসলাম। তাকে এই ঈদে আজ মনে করেন পঞ্চগড়বাসী।
আমি তার সন্তান হয়ে বারবারি আশা করি, ভুলে যাবেন আমার মাতৃভূমির পঞ্চগড়বাসি আমার মায়ের নাম, তার ত্যাগ।
অনামিকা ইসলাম প্রিয়ম
প্রকাশক দ্যা ডেইলী মিরর অব বাংলাদেশ