বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আগে ভারতের বিরুদ্ধে বড় সড় অভিযোগ আনা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পিচ বদলানোর অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে।
আইসিসিরি অনুমতি না নিয়েই দেশটির ক্রিকেট বোর্ড এমনটা করেছে বলে জানিয়েছে ইংলিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারত যদি ফাইনালে ওঠে তাহলে আগামী রবিবারের ফাইনালে আহমেদাবাদেও একইভাবে পিচ বদলাবে ভারত।
এই মাঠে গ্রুপপর্বের চারটি ম্যাচের তিনটিতেই আলাদা আলাদা পিচে খেলা হয়েছে।
এবারের আসরের পিচ প্রস্তুত করার দায়িত্বে ছিলেন আইসিসির কনসাল্টেন্ট অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন। তাঁর সঙ্গে আয়োজক দেশ আগে থেকেই পিচের ব্যাপারে আলাপ চূড়ান্ত করে রেখেছিল কিন্তু বিশ্বকাপে সময় যত গড়িয়েছে সেই চুক্তি থেকে সরে এসেছে ভারত। নিজেদের ইচ্ছামত পিচ পরিবর্তন করেছে আয়োজকরা।
মূলত ভারতীয় স্পিনারদের সুবিধা দেওয়ার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছে মেইল।
মুম্বাইয়ে আজ ৭ নম্বর উইকেটে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল। যে পিচে এর আগে এবারের আসরে আর খেলা হয়নি। কিন্তু বিসিসিআই ও আইসিসির ৫০ জন অফিসিয়াল নিয়ে খোলা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ক্ষুদে বার্তায় জানা যায়, ৭ নম্বর থেকে পিচ সরিয়ে ৬ নম্বরে নিয়ে আসা হয়েছে।
যেখানে এর আগে ভারত-শ্রীলংকা এবং ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ হয়েছে।
ফাইনালেও একই রকম হতে পারে বিধায় অ্যাটকিনসন নিজ উদ্যোগে আহমেদাবাদে গিয়ে পিচ পর্যবেক্ষণ করে এসেছেন। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের ৬ নম্বর পিচে হলেও পরের তিন ম্যাচ পূর্বনির্ধারিত পিচে খেলা হয়নি। এসব ব্যাপারে অ্যাটকিনসন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো মেইলে জানিয়েছেন ‘যথাযথ প্রক্রিয়া কিংবা পূর্বসতর্কতা ছাড়াই’ এসব পরিবর্তন করা হয়েছে। মেইল আরও দাবি করেছে যে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটাও পূর্বনির্ধারিত ৭ নম্বর পিচে হয়নি, খেলা হয়েছে ৫ নম্বর পিচে