1. admin@dailymirrorofbangladesh.com : mirror :
  2. mstmomtazbegum32@gmail.com : MD Arman : MD Arman
  3. mamun.cou16@gmail.com : Mamun : Mamun
  4. m.sohag21st@gmail.com : Sohag Shah : Sohag Shah
  5. shiblyhasan1212@gmail.com : shibly hasan : shibly hasan
  6. mohiuddinahmadtanveer@gmail.com : Mohiuddin Ahmad Tanveer : Mohiuddin Ahmad Tanveer
ভারতকে হারিয়ে ১১ বছরের আক্ষেপ ঘোচাল বাংলাদেশ » দ্যা মিরর অব বাংলাদেশ
২৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| বসন্তকাল| শনিবার| দুপুর ১:৪৮|
শিরোনামঃ
লাইলাতুল কদরের সন্ধানে আল-আকসায় ১ লাখ ৮০ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় কুমারখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল শেখ হাসিনার ছেলের জন্ম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হাসপাতালে: কর্নেল অলি আহমদ কুমারখালীতে এম এ মজিদ শিক্ষার্থী কল্যাণ ট্রাষ্ট-এর বৃত্তি প্রদান শাপলা ক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘ইস্পাহানীয়ান পরিবার, কুবি’ এর উদ্যোগে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য ইফতার ও দোয়া মাহফিল বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল যারা বঙ্গভবনে নামাজে ইমামতি করলেন সেনাপ্রধান আত্মগোপনে থাকা আ.লীগ নেতার ঈদ উপহার পেল অসহায়রা কুমারখালীতে থানা পুলিশের সম্মানে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

ভারতকে হারিয়ে ১১ বছরের আক্ষেপ ঘোচাল বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৯ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে
0825113bbbdc0767ee44eb8dc4189f07 6504969671596

এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বশেষ জয় ছিল সেই ২০১২ সালে। ওই যে, শচীন টেন্ডুলকারের শততম শতক পাওয়ার ম্যাচটা! এরপর এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বসূচক এই টুর্নামেন্টে অন্য সব দলকে হারালেও রোহিত-কোহলিদের আর হারাতেই পারছিল না বাংলাদেশ। আজ ঘুচল সে আক্ষেপ। ৬ রানে ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই অস্বস্তিতেই ছিল ভারত। আর তার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ডানহাতি পেসার তানজিম সাকিবের। প্রথম ৩ বলে দুটো ওয়াইড দেওয়া এই পেসার দুর্দান্তভাবে ফিরে এসে প্রথম ওভারেই তুলে নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। তানজিমের লেংথ বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে কাভার পয়েন্টে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দেন ভারতের অধিনায়ক। নিজের প্রথম ওয়ানডে উইকেট হিসেবে ‘শিকার’টা নিতান্তই খারাপ নয় তানজিমের জন্য!

 

তানজিমের পরের শিকার তিলক ভার্মা, তানজিমের মতই আজ ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল যার। কিন্তু তানজিমের বলের লেংথ না বুঝে ছাড়তে গিয়েছিলেন, সেটাই কাল হয়েছে। অফ স্টাম্পে লেগেছিল সে বল। এর আগে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিল দুজনের। সেখানেও তিলককে আউট করেছিলেন তানজিম সাকিব। তিন বছর পরও নিজের ভাগ্যে বদল আনতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

 

লোকেশ রাহুলকেও ‘প্রায়’ আউট করেই ফেলেছিলেন তানজিম সাকিব। কিন্তু রাহুলের ব্যাট মিস করে প্যাডে লাগা বলটা উইকেটে আঘাত হানত না, দেখিয়েছে বল ট্র্যাকার। তাই রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম স্পেলে টানা ছয় ওভার বল করে মাত্র ১৫ রান দিয়েছেন অভিষিক্ত এই পেসার, আর তাতেই হাঁসফাঁস করেছে ভারত।

 

একপ্রান্তে শুভমান গিল দাঁড়িয়ে ছিলেন ঠায়, সেই ওপেনিং থেকেই। আরেক প্রান্ত থেকে একের পর এক ব্যাটসম্যান আসছিলেন আর যাচ্ছিলেন। শুরুতে তানজিম সাকিবের তোপে খেই হারানো ভারতকে পরে কেউই তেমন আশা দিতে পারেননি। লোকেশ রাহুলকে নিয়ে গিল ইনিংস মেরামত করা শুরু করেছিলেন বটে, কিন্তু সেই জুটি পঞ্চাশ পেরোনোর পরেই ছোবল হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৯ বলে ১৯ করা রাহুল যখনই হাত খুলে খেলা শুরু করতে চাইলেন, তখনই শামীম হোসেনের হাতে ধরা পড়েন মিড উইকেটে।

 

ইশান কিষাণেরও একই দশা। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা এই বাঁহাতি গোটা টুর্নামেন্টে আর ঝলক দেখাতে পারেননি, সুযোগও পাননি তেমন। আজ দলের গুরুতর মুহূর্তে হাসেনি তাঁর ব্যাট। ১৫ বলে ৫ রান করে বিদায় নিয়েছেন মিরাজের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে, এলবিডব্লিউ হয়ে।

 

ভারতের চার নম্বর পজিশনে জায়গা পাকা করার সুযোগ ছিল সূর্যকুমার যাদবের সামনে। আজ যদিও চার নম্বরে নামেননি, তাও ‘অডিশন’-এ ভালো করলে বিশ্বকাপে ভারতের মূল একাদশে জায়গা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যেত। সেদিকেই এগোচ্ছিলেন এই ডানহাতি। শুরু থেকেই সুইপ খেলার দিকে আগ্রহী সূর্যকুমারের সঙ্গে গিলের জুটিটা বেশি চিন্তার কারণ হওয়ার আগেই দৃশ্যপটে সাকিব। ৩৪ বলে ২৬ রান করেই সাকিবের বলে বোল্ড হন সূর্যকুমার। জুটি থামে ৪৫ রানে। জাদেজাকে কিছুক্ষণ পর বোল্ড করে ম্যাচের লাগাম ভালোভাবেই বাংলাদেশের হাতে এনে দেন মোস্তাফিজ।

 

গিলও টিকতে পারেননি শেষমেশ। ধারাভাষ্যকক্ষে ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী নিশ্চিত ছিলেন, শুভমান গিল বাংলাদেশের কোনো না কোনো বোলারকে ‘টার্গেট’ করে পেটানো শুরু করবেনই। কারণ, তাঁর সেই ক্ষমতা আছে। বোলার নির্বাচন করে মাথা ঠাণ্ডা রেখে ইনিংসের গতি বাড়াতে পারেন তিনি। শাস্ত্রীর কথামতো শেখ মেহেদি হাসানকে পেটানো শুরু করেওছিলেন গিল। কিন্তু ওই পর্যন্তই। পরের বলেই দুর্দান্ত কামব্যাক মেহেদির। তাওহীদ হৃদয়ের হাতে গিলকে ক্যাচ বানিয়ে আউট করেছেন এই ডানহাতি অফস্পিনার। ১৩৩ বলে ১২১ রান করেই থেমেছে গিলের প্রতিরোধ।

 

এরপরেই হাল ধরেন অক্ষর প্যাটেল আর শার্দুল ঠাকুর। ব্যাট হাতে দুজনই যে একদম নবিশ, বলা যাবে না। বরং ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাট চালানোর টুকটাক অভ্যাস দুজনেরই আছে। অক্ষর অন্তত সেটাই দেখিয়েছেন। ৪৮ তম ওভারের শেষ দুই বলে শেখ মেহেদিকে টানা চার-ছক্কা মেরে ম্যাচের লাগাম আবারও ভারতের হাতে এনে দেন এই বাঁহাতি।

 

কিন্তু অক্ষরকে সঙ্গ দিতে পারেননি শার্দুল ঠাকুর। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলেই মিরাজের হাতে স্কোয়্যার লেগে শার্দুলকে ক্যাচ বানান মোস্তাফিজ।

 

কিন্তু বাংলাদেশের কাঁটা হয়ে অক্ষর ছিলেন তখনও। ওভারের তৃতীয় বলে মোস্তাফিজকে লং অফ দিয়ে চার মেরে সে ভয়টা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনিই। কিন্তু মোস্তাফিজই বা কেন হার মানবেন! পরের বলেই অক্ষরকে তানজিদ তামিমের হাতে ক্যাচ বানিয়ে আবারও আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। ৩৪ বলে ৪২ রান করে বিদায় নেন অক্ষর।

 

এরপর মোহাম্মদ শামি আর প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ চেষ্টা করেও দলকে জেতাতে পারেননি। শেষ ওভারে তানজিম সাকিবের বলে একটাই চার মারতে পেরছিলেন শামি, পরের বলে রান আউট হয়ে দলের বিদায় নিশ্চিত করেন তিনিই।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © THE MIRROR OF BANGLADESH 2024