বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ক্যাম্পাসে ঝোপঝাড় ঠিকমতো পরিষ্কারের অভাব ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় দিন দিন বেড়েই চলছে বিষাক্ত সাপের উপদ্রব। ফলে আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবসিক হলের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে দশটায় শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর ও সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ড এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এর পিছনে স্পেক্টাকল্ড কোবরা সাপের বাচ্চা দেখা গেছে।
এ সময় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। অনেক চেষ্টার পর আজকের দিনের দেখা তিনটি সাপ এর মধ্যে তারা দুইটি সাপ মারতে সক্ষম হয়, বাকি একটা পালিয়ে যায়। জানা গেছে, সন্ধ্যার পর কোবরা নামক বিষাক্ত সাপ এর বাচ্চা ঝোপঝাড় থেকে বেরিয়ে আসছে প্রতিনিয়ত।
আবাসিক হল, রাস্তাঘাটসহ, খেলার মাঠ সহ বিভিন্ন স্থানে অবাদে ঘুরে বেড়াচ্ছে এসব সাপ। এতে আবাসিক হল, এমনকি খেলারমাঠসহ রাস্তাঘাটে চলাচল অনেকটা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। যার ফলে আতঙ্কে দিন কাটতেছে সকল শিক্ষার্থীদের।গরমের কারণে সন্ধ্যার পর প্রায়ই জায়গায় দেখা মিলছে এই সাপের।
ক্যাম্পাসে সাপের এই উপদ্রব বাড়ায় আতঙ্কে আছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা। তাই সাপ নিধনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। উদ্যোগের বিষয় জানিয়ে শিক্ষার্থী মোস্তফা কে এম মুরাদ আহমেদ বলেন, সবার আগে প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের আতঙ্ক দূর করা।
এজন্য প্রশাসনিক উদ্যোগে বিষধর সাপের ব্যাপারে প্রচলিত কুসংস্কার দূরীকরণ এবং চলাচলে সতর্কতা অবলম্বনের ওপর গুরুত্বারোপ করা । ক্যাম্পাসের অবাঞ্চিত জঙ্গল পরিষ্কার করা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি জরুরি। দুর্ভাগ্যবশত কোনো দুর্ঘটনা যদি ঘটেই যায়, সেক্ষেত্রে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে প্রস্তুত দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ বিষয়ে আরেক শিক্ষার্থী মো কামরুজ্জামান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে সাপের উপদ্রব এতোটাই বেড়েছে যে, যেখানে সেখানে যেতে ভয় পাচ্ছি।
গত কয়েকদিন ধরে বসে থাকাবস্থায় হঠাৎ একটি গোখরা সাপ এর বাচ্চা আমাদের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছিল। যেটি খুবই ভয়ানক। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাপ নিধনে দ্রুত ব্যবস্থা নিক। তা না হলে যেকোন সময় ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা মো:নুরুজ্জামান খান বলেন, আমাদের ছোট্ট ক্যাম্পাস ,শিক্ষার্থী অনেক সত্যিই সাপের এই বিষয়টি অনেক উদ্যোগের কারণ।ক্যাম্পাসে ঝোপঝাড় দ্রুত বর্ধনশীল পরিষ্কার কাজ অব্যহত আছে। আমি ইতমধ্যে কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের ডিপার্টমেন্ট প্রধান এর সাথে সার্বিক বিষয় আলোচনা করেছি কার্বোলিক এসিডের ছিটানোর মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করার বিষয়ে।