চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নতির ইঙ্গিতে বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে টানা দ্বিতীয় দিন। তবে পুরো সপ্তাহজুড়ে চাপ থাকায় বাজারে মূল্য পতনের প্রবণতা বজায় রয়েছে। ওপেক জোটের সম্ভাব্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক চাহিদা ঘিরে অনিশ্চয়তা এর মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর আরব নিউজ
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে সৌদি আরবের স্থানীয় সময় ৭টা ৩৩ মিনিটে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪৩ সেন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬.৯৮ ডলার। তবে সাপ্তাহিক হিসাবে এই তেল ১.৪ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম ৪২ সেন্ট বেড়ে হয়েছে ৬৩.২১ ডলার। তবে সপ্তাহ শেষে এটি ২.৩ শতাংশ পতনের মুখে।
এলএসইজির জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক আন ফাম বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক ইস্যুতে নমনীয়তা ও ফেডের নীতিতে সম্ভাব্য পরিবর্তনের বার্তায় আজকের বাজারে কিছুটা চাঙ্গাভাব দেখা যাচ্ছে। তবে সামগ্রিকভাবে বাজার এখনো চাপে, বিশেষ করে ওপেক+ সরবরাহ বৃদ্ধির প্রস্তাব ও দুর্বল চাহিদার পূর্বাভাসে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চলছে। অন্যদিকে বেইজিং তাদের উচ্চ শুল্কের আওতায় থাকা কিছু মার্কিন পণ্যে ছাড় দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে। এই পরিস্থিতিকে বাজার ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখলেও, পুরোপুরি আস্থার জায়গায় পৌঁছায়নি।
ওপেক প্লাস জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলো উৎপাদন বাড়াতে চায় জুন মাসে। এর ফলে বিশ্ববাজারে সরবরাহ আরও বেড়ে যেতে পারে। এদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে আলোচনা এগোচ্ছে, তবে কিছু বিষয়ে এখনো মতপার্থক্য রয়েছে। যুদ্ধ থেমে গেলে এবং নিষেধাজ্ঞা শিথিল হলে রাশিয়ার তেল রপ্তানি বাড়তে পারে।
তেহরানও ইউরোপের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী। আলোচনায় অগ্রগতি হলে ইরানের তেল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠতে পারে। ইরান এখন ওপেকের তৃতীয় বৃহৎ তেল উৎপাদক।