সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেছেন, মানবতার মুক্তি ও বিশ্ব শান্তির দূত বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর আদর্শ প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারলেই একটি শান্তিময় সমাজ ও দেশ গঠন সম্ভব। সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের এই আয়োজন সে লক্ষ্যে করা হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। অপসংস্কৃতি মোকাবিলায় রাসুল (সা.)-এর আদর্শ আমাদের জীবনের পাথেয় হয়ে কাজ করবে।
পবিত্র সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্যোগে রাজধানীর বেইলি রোডের গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে কিরাত, হামদ-নাত ও আবৃতি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। গতকাল শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ এসব কথা বলেন।
বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, ইসলামি সংস্কৃতি আমাদের জন্য খুবই প্রচলিত বাস্তবতা। সমগ্র সৃষ্টি জগৎ কী পদ্ধতিতে চলবে, তার সবই ইসলাম শিখিয়েছে।
মাসব্যাপী কর্মসূচির আলোকে কিরাত, হামদ-নাত, আবৃত্তি প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি কবি মোশাররফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও আবৃত্তি শিল্পী নাসিম আহমেদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো. দেলাওয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য নুর নবী মানিক ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন।
সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের সেক্রেটারি মাহবুব মুকুলের উপস্থাপনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীতশিল্পী সালাউদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার তাফাজ্জল হোসেন খান প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যেকোনো জাতি-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি সভ্যতা বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংস্কৃতি হচ্ছে মনের জমিনকে ভালো করে চাষাবাদ করার উৎকৃষ্ট মাধ্যম। সংস্কৃতির বাহন হিসেবে কবিতা, গান আমাদের ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে। বাংলাদেশের নব্বই ভাগ মানুষ মুসলমান তাই এখানে ইসলামী সংস্কৃতি লালন করা খুবই জরুরি। সম্প্রতি নতুন বাংলাদেশে কালচারাল মুভমেন্টের সঙ্গে ষড়যন্ত্রকারী ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে গেছে আমরা তাদের দ্রুত অপসারণ দাবি করছি।
বিভাগভিত্তিক ৯০ জন বিজয়ীর মধ্যে প্রথম পুরস্কার হিসেবে নয়জনকে নগদ ২০ হাজার টাকা করে, দ্বিতীয় পুরস্কার ১৫ হাজার টাকা করে, তৃতীয় পুরস্কার ১০ হাজার করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে নয়জনকে সাত হাজার টাকা করে, পঞ্চম পুরস্কার পাঁচ হাজার টাকা করে এবং ষষ্ঠ থেকে ১০ম পুরস্কার তিন হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ৯০ জন বিজয়ীর হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।