আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে ঈঙ্গিত করে বলেছেন, ‘নির্বাচন আসুন, শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা কতটা তুঙ্গে টের পাবেন।
‘আমাদের ক্ষমতার উৎস বাংলার জনগণ, কোনো বিদেশি প্রভু নয়। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। আমরা কারও দয়ায় ক্ষমতায় আসিনি।’
শনিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তোপখানা রোডে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বারবার ডাক দিয়েও মানুষকে মাঠে নামাতে পারেনি। এখন অবস্থা এমন যে, তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে চায়। দরজা খুলে দিলে টের পাবেন, লাইন কত বড়। কাজেই এত কথা বলবেন না।’
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইতিহাসের পরিণতি বড় নির্মম। জিয়াউর রহমানের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। পলাশীর বিশ্বাসঘাতকদের কারও স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। যে বুলেট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, সে বুলেট খালেদা জিয়াকেও বিধবা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনের দায়ীদের প্রচলিত আদালত ক্ষমা করলেও ইতিহাসের আদালত কাউকে ক্ষমা করবে না। জিয়া যদি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাহস না দিতেন, তাহলে মঞ্চের খুনিদের এ দুঃসাহস হতো না। জিয়া খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলেন এবং তাদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন।’
বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের কুশীলব কারা তা এখনও অজানা রয়ে গেছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জানা প্রয়োজন নেপথ্যের কুশীলব কারা। যে হত্যা করে আর যে নেপথ্যে খুনিদের সহযোগিতা করে তারা উভয়ই সমান অপরাধী। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা যাদের প্রতিপক্ষ ভাবি, তারা আমাদের শত্রু ভাবে। তারা শত্রুর মতো ব্যবহার করে।
বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ডা. মো. কামরুল হাসান মিলনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার মো. শরফুদ্দীন আহমেদ এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ডাক্তার মো. কামরুল হাসান মিলন ও স্বাচিপের সভাপতি ইকবাল আর্সলানসহ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।