মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিবসহ অন্তত ৪০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করছে দলটি।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার শ্রীনগর-দোহার বাইপাস সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ এ হামলা করেছে। তবে ছাত্রলীগ বলছে, বিএনপির থেকে তাদের শোকমিছিলে হামলা করে ১০ থেকে ১৫ জনকে আহত করা হয়েছে। এ নিয়ে পরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আজ শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা শ্রীনগর-দোহার বাইপাস এলাকায় জড়ো হন। সকাল ১০টার দিকে তাঁরা মিছিল বের করেন। এসময় ছাত্রলীগও একটি মিছিল নিয়ে ওই এলাকায় আসে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন- ছাত্রলীগ-যুবলীগ বিনা উসকানিতে পুলিশের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব হাফিজুল ইসলাম খান, মহিলা দলের নেতা সেলিনা রিনা, উপজেলা যুবদলের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, যুবদল নেতা মাসুদ রানা, বিএনপি নেতা মামুন, আবুল মৃধা, মো. রণি, আজিম, বাবুল ব্যাপারী, কাউসার হোসেন, আবুল কালাম, তানভীর হাসান, রোকেয়া বেগমসহ বেশ কয়েকজনকে বেদম মারধর করা হয়।
পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি
উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব হাফিজুল ইসলাম খান বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবেই বাইপাস সড়কে অবস্থান করছিলেন। এসময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা রামদা, হকিস্টিক, লোহার রড নিয়ে হামলা চালান। পুলিশ উপস্থিত থেকে পেটানোর নির্দেশ দেয়। হামলায় ৪০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৫ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেকে ঢাকায় চলে গেছেন।
পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের এমন হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।শ্রীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম ইসলাম বলেন, শোকের মাস উপলক্ষে তারা শ্রীনগর বাইপাস সড়কে শোকমিছিল করছিলেন। তখন বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের মিছিলে অতর্কিত হামলা করেন। এতে ছাত্রলীগের ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। হামলার খবরটি যখন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাদের আরো নেতাকর্মী আসেন। পরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। ছাত্রলীগ কোনো হামলা করেনি।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিএনপির মিছিল থেকে ছাত্রলীগের উদ্দেশে দু-তিনটি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তখন পুলিশ মাঝখানে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এমনকি দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছে দেয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে আনা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারও পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।