একমাত্র টেস্ট সিরিজে রেকর্ড জয়ের পর দীর্ঘ বিরতি, এরপর চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজ। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। এরপর আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ খেলা টাইগারদের জন্য বিশাল অর্জন।
কিন্তু রিসিভিং রুম খালি। চট্টগ্রামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে শোচনীয় পরাজয় টাইগারদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আফগানদের কাছে সিরিজ হারের পর ধবল ধোলাই চিন্তিত। কিন্তু পেসার শরিফুলের দুর্দান্ত বোলিং বাঁচিয়েছে টাইগারদের। শেষ ম্যাচে ৭ উইকেটের দুর্দান্ত জয়ে উজ্জীবিত হয়ে সিলেটে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ।
সিলেটে এই টি-টোয়েন্টি সিরিজের সঙ্গে চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজে অনেক কিছুই পাল্টে গেছে বাংলাদেশ দলে। স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য চট্টগ্রামের চেয়ে ভাগ্যবান ভেন্যু সিলেট। সিলেটে বাংলাদেশের জয়ের অনুপাতও ভালো। স্থান পরিবর্তনের সাথে বিন্যাস পরিবর্তন হয়। ওয়ানডে থেকে টি-টোয়েন্টি।
যদিও ওয়ানডেতে বাংলাদেশ বরাবরই ভালো খেলেছে। টি-টোয়েন্টিতে নিঃসন্দেহে পিছিয়ে আফগানিস্তান। তারপরও বাংলাদেশ ফরম্যাট পরিবর্তন নিয়ে আশাবাদী হতে পারে। তবে উপরোক্ত দুটি পরিবর্তনের চেয়ে বাংলাদেশ দলে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন অধিনায়কের। লিটন দাসের পরিবর্তে বাংলাদেশ এখন সাকিব আল হাসানের হাতে। সাকিব এমনিতেই টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত অধিনায়ক।
তবে নেতৃত্বের পরিবর্তন এবং সাকিবের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে নেতৃত্বে থাকায় বাংলাদেশি ভক্তরা টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে আশাবাদী হতে পারেন। তবে আফগানিস্তান দলেও একই রকম পরিবর্তন রয়েছে। হাশমত উল্লাহ শাহিদির জায়গায় আফগানিস্তান দলের নেতৃত্ব এখন টি-টোয়ের আরেক পোস্টার বয় রশিদ খানের হাতে। রশিদ খান এখন টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের চেয়ে বেশি অভিজ্ঞ। তার নেতৃত্বে আফগানরাও উজ্জীবিত।