বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভোলার লালমোহন উপজেলার ৪টি মাছ ধরা ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গেছে।
এ সময় ট্রলারে থাকা ৬০ জন মাঝি-মাল্লার মধ্যে তিনটি ট্রলারসহ ১৩ জনকে ভাসমান অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৮ জেলেকে সুন্দরবন এবং ৫ জেলেকে হাতিয়া এলাকায় নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে।
শনিবার বিকাল পর্যন্ত ৪৭ জেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার ফিশিং গ্রাউন্ড এলাকায় ট্রলারগুলো ঝড়ের কবলে পড়ে।
লালমোহনের মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা তানভির আহমেদ এবং ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তানভির আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, লালমোহন বাতির খাল এলাকার হারুন অর রশিদ ফারুকে এফভি লামিয়া, লর্ডহার্ডিঞ্জ বুড়িরধোন এলাকার নূরুউদ্দিন মাঝির ট্রলার ও গাইট্টা এলাকার নাজিম উদ্দিন মাঝির ট্রলারসহ আরও একটি ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। শনিবার সকালে এসব ট্রলার ডুবির খবর জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। পরে খবর নিয়ে উদ্ধার হওয়া জেলেদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান চলছে।
ডুবে যাওয়া বাতির খাল এলাকার এফভি লামিয়া নামে একটি ট্রলারের মালিক হারুন অর রশিদ ফারুক জানান, গত ১৭ আগস্ট দুপুরে বাতির খাল ঘাট থেকে ১৩ জন মাঝি মাল্লা নিয়ে গভীর সমুদ্রে যায় তার ট্রলার। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বোটটি হঠাৎ গভীর সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। জেলেদের সন্ধান না পেলেও শনিবার সকালে সুন্দরবন এলাকা থেকে ফোনে জানতে পারেন, অন্য দুটি বোটে ৮ জন জেলে উদ্ধার হয়েছে। তারা সুন্দরবন এলাকায় আছে।
বাকি ৫ জনের এখনো কোনো সন্ধান পাননি বলে জানান এই ট্রলার মালিক। তার ট্রলারের নিখোঁজ জেলেরা হলেন-আব্দুল মোতালেব, আবুল কালাম, আরিফ, নিরব ও মাকসুদ।
অন্যদিকে, লর্ডহার্ডিঞ্জ এলাকার বাকি তিনটি ডুবে যাওয়া ট্রলারের ৫ জেলেকে উদ্ধার করে নোয়াখালীর হাতিয়ায় রাখা হয়েছে। বাকি ৪৭ জেলের এখনও সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানান লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া।
মিরর/সাদ্দাম